কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশের  জিডিপি তলানিতে, বেকারত্বের হার অস্বাভাবিক, অর্থনীতির অবস্থা বেহাল। এরকম এক পরিস্থিতিতে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘোরাতে অর্থমন্ত্রক না সামলে রাজনীতি করতে নেমে পড়েছেন নির্মলা সীতারামন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আজ এভাবেই আক্রমণ শানালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।


সম্প্রতি আমফান থেকে পরিযায়ী শ্রমিক সহ রাজ্যের একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্যে সরকারকে নিশানা করেন নির্মলা। পরিসংখ্যান তুলে ধরে পাল্টা দিলেন অমিত মিত্রও।


আরও পড়ুন-ভাঙছে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন! হুরিয়ত কন্ফারেন্স ছাড়লেন আলি শাহ গিলানি


সোমবার অমিত মিত্র বলেন, দেশের আর্থিক পরিস্থিতির যে অবস্থা তাতে জিডিপি ৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। দেশের কোভিড সংক্রমণ শুরুর আগেই অর্থনীতিতে ধস নেমেছিল। এখন অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিজের ঘর সামলানোর পরিবর্তি তিনি  রাজনীতি করছে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। দেশে বেকারত্ব ২৪ শতাংশ, বাংলায় ১৭ শতাংশ। চ্যালেঞ্জ করছি উনি যা বলছেন তা মিথ্যে, বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা। দেশের করুণ অবস্থা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এনিয়ে রাজ্যের মানুষ চিন্তিত।


কেন্দ্রের কিষান যোজনা নিয়েও বিভ্রান্তি ও তথ্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এমনটাই অভিযোগ করলেন অমিত মিত্র। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, বলা হচ্ছে কিষান যোজনায় অংশ না নিয়ে নাকি বাংলার কৃষকদের ক্ষতি করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু একবারও বলা হচ্ছে না, রাজ্য সরকারের রয়েছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প। সেখানে ডেথ বেনিফিট রয়েছে, ভাগচাষিরাও তার সুবিধা পান। ওই প্রকল্পে ২,২৫৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এটা কি উনি জানেন?
 
পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে বরাবরই সরব রাজ্য বিজেপি। তাদের দাবি, ভিন রাজ্যে আটকেপড়া শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে চাইছিল না রাজ্য সরকার। তবে রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এলে তাদের পরীক্ষা করা, কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করার সমস্যা হবে। সীতারামনের অভিযোগ ছিল, রাজ্য সরকার বাংলায় কত শ্রমিক ফিরছে তার পরিসংখ্যান দিচ্ছে না। অমিত মিত্র এনিয়ে বলেন, গত ২৩ জুন আমরা রাজ্যে সব পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিসংখ্যান পাঠিয়ে দিয়েছি। ওরা চিঠি দিয়েছিল দুপুরে, সন্ধেয় হিসেব পাঠানো হয়েছে। নির্মলাকে কেউ বললেন না অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি সব মিথ্যে বলছেন।


আরও পড়ুন-করোনা মোকাবিলার সরঞ্জাম নেই, কলকাতায় পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি ওলা-উবার চালকদের


রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়েও টার্গেটে নির্মলা। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলার করোনা পরিস্থিতির নাকি খুব খারাপ অবস্থা। ওরা নাকি ১০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন।  একেবারে মিথ্যে কথা। রাজ্যে করোনা রোগীদের সুস্থ হওয়ার হার ৬৪ শতাংশ।


সিএএ নিয়েও নির্মলাকে আক্রমণ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।  বলেন, সিএএ-এনআরসি-এনপিআর একটা প্যাকেজ। আমারা প্রথমে ভেবেছিলাম জনগণনার সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। না। এটা সম্প্রদায়ের ওপরে আঘাত।