Dilip Ghosh: বোগদায় চা চক্রে যোগ দিলীপ ঘোষের, তীব্র আক্রমণের মুখে তৃণমূল
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অভিষেক ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে অনেক কেস চলছে। অনেকবার উনি সিবিআই এর কাছে গিয়েছেন, নতুন কিছু না। এখন কোন কেসে স্থগিতাদেশ আর কোন কেসে ডাকা হয়েছে জেরা করতে সেটা এখনও ক্লিয়ার নয়। তা অভিষেক ব্যানার্জিও বলেনি আর সিবিআই ও বলেনি। গরু পাচার, সোনা পাচার, কয়লা পাচার এবং যত রকম দুর্নীতি অভিষেক ব্যানার্জীর দিকে তীর যাচ্ছে'।
ই গোপি: প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে খড়গপুর বোগদা এলাকায় চা চক্রে যোগ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি এবং সংসদ দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই-এর ডাকা থেকে শুরু করে মুকুল রায়ের দিল্লিতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া এবং তৃণমূলকে সিবিআই-ইডি সহ এজেন্সির মাধ্যমে ভয় দেখানো সহ নানা প্রসঙ্গের মন্তব্য করেন।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অভিষেক ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে অনেক কেস চলছে। অনেকবার উনি সিবিআই এর কাছে গিয়েছেন, নতুন কিছু না। এখন কোন কেসে স্থগিতাদেশ আর কোন কেসে ডাকা হয়েছে জেরা করতে সেটা এখনও ক্লিয়ার নয়। তা অভিষেক ব্যানার্জিও বলেনি আর সিবিআই ও বলেনি। গরু পাচার, সোনা পাচার, কয়লা পাচার এবং যত রকম দুর্নীতি অভিষেক ব্যানার্জীর দিকে তীর যাচ্ছে। এখন শিক্ষা দুর্নীতিতেও ওনার নাম আসছে। এটা আগে পরিষ্কার হোক সিবিআই কি করে ডাকতে পারে। হয়তো আইনের ফাঁক ওটাই আছে, অন্য কেসে ডেকেছে। একজনকে সুরক্ষা কবজ দিয়েছিল কোর্ট মানিক বাবুকে। কিন্তু অন্য কেসে তাকে ডেকে অ্যারেস্ট হয়েছে। সেই জন্য জটিল ব্যাপার আছে। যারা রাজনীতি করছেন বা উনি লোককে ভুল বোঝাচ্ছেন সেটা পরিষ্কার হওয়া দরকার আছে’।
আরও পড়ুন: North 24 Parganas: বাগদার তৃণমূল বিধায়ককে জেলে পাঠানোর হুমকি বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়কের
তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে দুর্নীতি সেখানে ইডি, সিবিআই যাবে। এর আগেও তো বিজেপির রাজত্ব ছিল। তখন কংগ্রেসের ক্ষমতা হয়নি সিবিআই পাঠাতে। এখানে বারবার এসেছে নারদা-সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে। তখন তো বিজেপি ছিল না। আসলে সমস্ত নেতা, মন্ত্রী ,এমপি, এমএলএ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। যেখান থেকে এই উৎসাহ অনুপ্রেরণাটা এসেছে এখন তীর ওদিকে যাচ্ছে। এমএলএ পালাচ্ছে, ঘর ছেড়ে। পুকুরে ফোন ফেলে দিচ্ছে। গাছে উঠে যাচ্ছে। বাঁচার জন্য এই যদি এমএলএ, এমপিদের স্ট্যান্ডার্ড হয় তো হবেই। সিবিআই, ইডির তো কাজ এটা। যেখানে দুর্নীতি, অনৈতিক কাজ হয়েছে সেটা খুঁজে বার করা। আর সেটাই ওরা করছে। ওরা ভয় দেখাচ্ছে না, ডেকে নিয়ে যেতে এসেছে। সবাইকে জেলের ভাত খাওয়াবে’।
মুকুল রায় প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘নিখোঁজ অনেকদিন আগেই হয়েছেন। ছয় মাসের মধ্যে দেখুন ওর কোনও খবর আছে? উনিতো একজন এমএলএ। বাংলার রাজনীতিতে খুব বড় ব্যক্তিত্ব উনি। নেতার কেন কোনও খবর নেই? আমার মনে হয় এটা লস্ট কেস। মুকুল রায়কে নিয়ে কেউ চিন্তা করে না আর’।
আরও পড়ুন: Kalyani: ওয়ার্ড অফিসে ঢুকে তান্ডব, তৃণমূল মহিলা কাউন্সিলরকে মারধর দুষ্কৃতিদের
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘উনি আটকাতে পারবেন হলে। কংগ্রেস ছিল সিপিএম হল। সিপিএম ছিল তৃণমূল হল। তৃণমূল থেকে বিজেপি হবে। পশ্চিমবাংলার মানুষেরা লোকসভা, বিধানসভায় ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি বাংলার ভবিষ্যৎ, সময়ের অপেক্ষা। মাননীয় অমিত শাহ বলেছেন যদি ৩৫টা সিট চব্বিশে পাই তাহলে ওই বছর নতুন সরকার হয়ে যাবে। খুব সম্ভাবনা আছে। ১৮টা সিট পেতেই নড়ে গিয়েছিল ভিত। দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গিয়েছিল। ডজন ডজন নেতা, মন্ত্রী, এমএলএ, এমপি ছুটে ছুটে বিজেপিতে আসছিলেন। দিদি জানেন তার এমএলএ, এমপিরা যতদিন কামানোর সুযোগ আছে তার সঙ্গে আছে। যেদিন এদিক ওদিক হবে সব ভেগে যাবে’।