'দুষ্কৃতীদের এনে জেতার চেষ্টা করছে তৃণমূল', ঝাড়গ্রামে বিস্ফোরক Dilip

'জুন মাসের পর থেকে কোথাও তৃণমূলের ঝাণ্ডা দেখা যাবে না।'

Updated By: Jan 3, 2021, 05:47 PM IST
'দুষ্কৃতীদের এনে জেতার চেষ্টা করছে তৃণমূল', ঝাড়গ্রামে বিস্ফোরক Dilip

নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বাম আমলে যারা জঙ্গলমহলকে অশান্তি করেছিল, সেইসব দুষ্কৃতীদের জেল থেকে ছাড়িয়ে এনে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে তৃণমূল।' ঝাড়গ্রামের (Jhargram) জনসভায় বিস্ফোরক অভিযোগ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। তাঁর হুঁশিয়ারি, 'করোনার ডেট জানা না থাকলেও, তৃণমূল কবে চলে যাবে, বলে  দিচ্ছি। মে মাসের ২০ তারিখের পর চলে যাবে। জুন মাসের পর থেকে কোথাও তৃণমূলের ঝাণ্ডা দেখা যাবে না। এই সক্রামক ব্য়ধি, ভাইরাস পশ্চিমবঙ্গের অনেক ক্ষতি করেছে।'

আরও পড়ুন: দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে সরাতে হবে, ঝাড়গ্রাম থেকে শুভেন্দু

বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর রবিবার প্রথম জঙ্গলমহলে সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন ঝাড়গ্রামের (Jhargram) সভায় উপস্থিত জনতাকে স্মরণ করিয়ে দেন, বাম আমলে এলাকায় অত্যাচারিতদের পাশে কী ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বলেন,  'তৃণমূলকে এখানে চারটি আসনেই হারাতে হবে। এখানে দু'টি জেলা পরিষদ তৃণমূল অন্যায়  ভাবে দখল করেছে।' সেই জনসভায় হাজির ছিলেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘মমতা বলেন জঙ্গলমহল হাসছে, আমরা হাসি দেখি না। জঙ্গলমহল থেকে যুবক-যুবতী অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। আজ জঙ্গলমহলের ভূমিপুত্ররা পরিবর্তন করতে এসেছে।’

আরও পড়ুন: 'বিজেপির থেকে বড় শত্রু নেই', রাজনৈতিক দলগুলিকে জোট বাঁধার আহ্বান Kaushik Sen-র

উল্লেখ্য, রবিবাসরীয় সকালে রাজ্যে এসেছে মিম (MIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi)।  হুগলির ফুরফুরা শরীফে (Furfura Sharif)  পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ, বিধানসভা ভোটের মুখে নিজের আলাদা দল ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছিলেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, 'আসাদউদ্দিন ওয়াইসি একটি রাজনৈতিক দল চালান। যেকোনও জায়গায় তিনি যেতে পারেন। বিজেপির চিন্তার কোনও কারণ নেই।' আর তৃণমূল? বিজেপির রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ, 'পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের ভোটকে তাদের জমিদারি, সম্পত্তি বলে মনে করেছিল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুসলিমদের জন্য অনেক কাজ করেছেন। যদি কাজ করে থাকেন, তাহলে মুসলিমরা পাশে থাকবেন। তবে মুসলিমদের যদি বিকাশ না হয়ে থাকে, তারজন্য দায়ী কংগ্রেস, সিপিএম  ও তৃণমূল। রাজ্যে মুসলিম পার্টিকে আনার পিছনে তারাই।'

.