লকডাউনে ভিনরাজ্য ফেরত যাত্রীদের সরকারি বাসের ব্যবস্থা, পরিষেবা দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ
লকডাউনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য বিভিন্ন রুটে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে পুরো লকডাউন । এই লকডাউনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এ দিন সকালে হাওড়া স্টেশনে এসে পৌছায় বেশ কিছু ট্রেন। সকাল ৯,৩০ থেকে ১২ টার মধ্যে দিল্লি, ভুবনেশ্বর থেকে ট্রেন এসে হাওড়ায় এসে পৌছন যাত্রীর।
কিন্তু রাজ্যেজুড়ে লকডাউন । এইসব আগত যাত্রী বাড়ি ফিরবেন কীভাবে? সবার বাড়ি তো কলকাতা বা হাওড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সেই কথা মাথায় রেখে যাত্রীদের যাতে লকডাউনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য বিভিন্ন রুটে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। হাওড়া স্টেশন থেকে কসবা ,বারাসাত , বারাকপুর , বারুইপুর , দুর্গাপুর , আসানসোল, কাটোয়া রুটের যেমন বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তেমনি গড়িয়া, ডায়মন্ড হারবার, মেদিনীপুর রুটের বাসও ছাড়া হচ্ছে। আর যাঁরা উত্তরবঙ্গে যাবেন সেইসব যাত্রীদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ধর্মতলা। সেখান থেকে নিদিষ্ট সময়ে কয়েক দফায় উত্তরবঙ্গের বাস ছাড়বে।
আরও পড়ুন: বিধায়কের বাড়ি থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, দানা বাঁধছে রহস্য
লকডাইনে এই যাত্রীবাহী বাসগুলো যাতে রাস্তায় কোন সমস্যায় না পড়ে তার জন্য আগাম নির্দেশ দেওয়া আছে জেলা প্রশাসনকে। কিন্তু এই বাস পরিষেবা নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় হাওড়া স্টেশনে। সকাল ৯.৩০ হাওড়াগামী দিল্লির ট্রেনটি স্টেশনে পৌছনোর পর সব যাত্রীদের বিভিন্ন গন্তব্য স্থলে বাস রওনা হয়ে যায়। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় বেলার ১২টার নাগাদ ভুবনেশ্বরের ট্রেনটি হাওড়াতে পৌছনোর পর। প্রথম পর্বে যতটাই সুষ্ঠভাবে যাত্রী পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে ততটাই বিশৃঙ্খলা দেখা যায় দ্বিতীয় ধাপে। সে সব যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার কোন বাস নেই হাওড়া স্টেশনে। এমনটাই অভিযোগ ওঠে। একটিমাত্র বাস ছিল সেটি নিউটাউনে যাবে।
একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে বৃষ্টি এই অবস্থায় চরম বিপাকে যাত্রীরা। এই নিয়ে উত্তেজনাও ছড়ায়। বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। তবে দিল্লি থেকে যাঁরা ফিরেছেন, অনেকেই সরকারের এই পরিষেবাকে স্বাগত জানিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের কথায়, সরকার বাড়ি ফেরার জন্য এত ভালো ব্যবস্থা করে রাখবে, তাঁরা এমনটা ভাবেননি। বাসের ব্যবস্থা সরকার করে দিলেও প্রত্যেক যাত্রীকে টিকিট কেটে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। এক যাত্রীর বলছেন, খুব সামন্য খরচে সরকার লকডাউনে যেভাবে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছে, তাতে তাঁরা খুশি। এখন যদি তাঁদের প্রচেষ্টায় বাড়ি ফিরতে হলে, লকডাউনের বাজারে অনেক বেশি খরচ হত । তার থেকেও বেশি সমস্যা যানবাহন পাওয়া নিয়ে ।