Bardhaman: রোগীর পেটে ২৫০ পেরেক, ৩৫ কয়েন ও পাথর কুচি, অপারেশনে বড় সাফল্য বর্ধমান হাসপাতালের
বর্ধমান হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ জানান, এই ধরনের অপারেশন বর্ধমান হাসপাতালের একটা বড় সাফল্য। মইনুদ্দিনের দাদা শেখ মসলিনউদ্দিন জানান, তাঁর ভাইয়ের মানসিক সমস্যার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
![Bardhaman: রোগীর পেটে ২৫০ পেরেক, ৩৫ কয়েন ও পাথর কুচি, অপারেশনে বড় সাফল্য বর্ধমান হাসপাতালের Bardhaman: রোগীর পেটে ২৫০ পেরেক, ৩৫ কয়েন ও পাথর কুচি, অপারেশনে বড় সাফল্য বর্ধমান হাসপাতালের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/06/16/379012-bardhamanhospital.jpg)
অরূপ লাহা: রোগীর পেট থেকে বের হল ২৫০টি পেরেক এবং ৩৫টি কয়েন। গোটা ঘটনায় তাজ্জব বর্ধমান মেডিক্যালের কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সফল অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ শেখ মইনুদ্দিন।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কৃষ্ণবাটি গ্রামের বাসিন্দা বছর আটত্রিশের শেখ মইনুদ্দিন। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে তিনি মানসিক রোগী। পরিবারের লোকেরা বর্ধমান হাসপাতালের মানসিক বিভাগে তাঁর নিয়মিত চিকিৎসা করান। জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে খাওয়া দাওয়া করছিলেন ওই ব্যক্তি। বিকেলে এক গ্লাস দুধ ছাড়া কিছুই খাননি। হাবেভাবে পেটে ব্যথার কথা পরিবারের সদস্যদের বোঝান তিনি। মঙ্গলবার বর্ধমান শহর সংলগ্ন একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের চিকিৎসকের কাছে মইনুদ্দিনকে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। তাঁর পরামর্শে মইনুদ্দিনের এক্স-রে করা হয়। দেখা যায়, তাঁর পেটে অসংখ্য পেরেক রয়েছে। মইনুদ্দিনের অপারেশনের জন্য এক লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরিবারের অত টাকা দেওয়ার সামর্থ ছিল না।
বুধবার সকালে মইনুদ্দিনকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা এক্স-রে করেন। তাঁকে ভর্তি করা হয়। রাতে অপারেশন করে তাঁর পেট থেকে ২৫০টি পেরেক, ৩৫টি কয়েন এবং বেশ কিছু পাথর কুচি বের করা হয়। আপাতত তিনি সুস্থ। বর্ধমান হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ জানান, এই ধরনের অপারেশন বর্ধমান হাসপাতালের একটা বড় সাফল্য। মইনুদ্দিনের দাদা শেখ মসলিনউদ্দিন জানান, তাঁর ভাইয়ের মানসিক সমস্যার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।