Bike Theft: ইলামবাজার যাওয়ার পথে ছিনতাই, ১০ বছর পর সেই বাইক মালিকের হাতে তুলে দিল পুলিস

পুলিসের তত্পরতায় অবাক বাইক মালিক। এখনওপর্যন্ত ৩২টি চোরা বাইক তাদের মালিকের হাতে তুলে দিয়েছে দুবরাজপুর থানার পুলিস

Updated By: Jul 26, 2022, 12:54 PM IST
Bike Theft: ইলামবাজার যাওয়ার পথে ছিনতাই, ১০ বছর পর সেই বাইক মালিকের হাতে তুলে দিল পুলিস

প্রসেনজিত্ মালাকার: এক দশক আগে সাধের বাইকটি হারিয়েছিলেন বোলপুরের বাসিন্দা নাড়ুগোপাল দাস। দুবরাজপুর থানার তত্পরতায় সেই বাইক এতদিন পরে ফিরে পেলেন তিনি। পুলিসের এমন তত্পরতায় অবাক নাড়ুগোপালবাবু।

বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মরাজতলার বাসিন্দা নাড়ুগোপাল ঘোষ। তিনি জানালেন, যে কোম্পানিতে তিনি কাজ করেন সেই কোম্পানির কাজে রাত্রিবেলায় ইলামবাজার যাচ্ছিলেন। তারিখটা ছিল ২০১২ সালের ২৮ অগাস্ট। সেই সময় রায়পুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে কালভার্টে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তার পথ আটকায়। বাইকটা কেড়ে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে রাস্তা থেকে প্রায় অনেকটাই দূরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। দুষ্কৃতীরা যখন বাইকটা ছিনতাই করেছিল তখন বাইকটি নতুনই ছিল। নাড়ুগোপালবাবু আরও জানান, স্বপ্নেও কোনো দিন ভাবেননি যে বাইকটা আবার ফিরে পাব।বাইক ফিরে পেয়ে অসংখ্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন দুবরাজপুর থানার পুলিসকে। যা কখনওই স্বপ্নে ভাবেননি সেটাই করে দেখাল দুবরাজপুর থানার পুলিস। এছাড়াও দুবরাজপুর থানার পুলিসের কাছ থেকে তিনি যা ব্যবহার পেয়েছেন তা তিনি কোনও দিন ভুলবেন না বলে জানান।

নাড়ুগোপাল ঘোষের বন্ধু লালমোহন সিং জানান, দশ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বাইক আমাদের মাথা থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। দুবরাজপুর থানার প্রচেষ্টায় এ ভাবে বন্ধুর বাইক ফিরে পেয়ে স্বভাবতই খুশি। দুবরাজপুর থানার পুলিসকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

প্রসঙ্গত, পুলিস গত ২৯ শে জুন দুবরাজপুর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মণিমোহন দাসকে গ্রেপ্তার করে  দুবরাজপুর থানার পুলিস। মণিমোহনের কাছ থেকে ৯টি চোরাই বাইক উদ্ধার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে আরও ২টি বাইক উদ্ধার করে পুলিস। মণিমোহন দাসের কাছ থেকে মোট ১১টি বাইক উদ্ধার করে দুবরাজপুর থানার পুলিস।

এর আগেও দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেন ৪২টি চোরাই বাইক উদ্ধার করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত মোট ৫৩টি চোরাই বাইক উদ্ধার করেছেন আফরোজ হোসেন। চোরাই বাইকগুলির ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর দেখে মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। পরে আদালতের আইনি জটিলতা কাটিয়ে মালিকদের হাতে বাইক তুলে দিয়েছেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মণিমোহন দাসের কাছ থেকে যে ১১টি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়েছিল সেগুলির মধ্যে একটি ছিল নাড়ুগোপালবাবুর। তার বাইকটার সামনে ও পেছনের নাম্বার প্লেট পালটে দেওয়া হয়েছিল। ইঞ্জিন ও চ্যাসিস নম্বর দেখে আসল মালিকের পরিচয় বার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ৩২টি বাইক মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দুবরাজপুর থানার পুলিসের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন-অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কী বললেন পার্থ?

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.