First Level Check: লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি? জেলাশাসকদের নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের জরুরি বৈঠক...

EC Begins First Level Check of EVMs: রাজ্যের ২৩টি জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের জরুরি বৈঠক। এটিই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ২০২৪ লোকসভা ভোটের প্রথম পর্যায়ের বৈঠক। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অগস্টে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তিন আধিকারিক আসছেন রাজ্যে।

অয়ন ঘোষাল: আগামী ১৯ অগস্ট রাজ্যে আসছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তিন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। লোকসভা নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই আসছেন তাঁরা। এমনই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। তবে তার আগে আলিপুরের এক পাঁচতারা হোটেলে রাজ্যের ২৩টি জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের জরুরি বৈঠক। এটিই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ২০২৪ লোকসভা ভোটের প্রথম পর্যায়ের বৈঠক।

এদিকে অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রতি জেলায় শুরু হয়ে যাচ্ছে FLC (FIRST LEVEL CHEKING)-র কাজ। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে রাজ্যের সমস্ত স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে জানিয়ে দেওয়া হবে, বিধানসভা ভোটের পরে ইভিএমের সব ডেটা এবং ভিভিপ্যাট ডেটা ডিলিট করা হল। সব কটি স্বীকৃত দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জেলাশাসকরা এই কাজ করবেন। 

২০২৪-এর লোকসভা ভোটেই প্রথমবার ব্যবহার হবে M3 ইভিএম। এই আপগ্রেডেড ভার্সন ইভিএম সর্বোচ্চ ৭০ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কার্যকরী থাকে। মনোনয়ন জমা, স্ক্রুটিনি এবং প্রত্যাহারের পর যে ফাইনাল প্রার্থী তালিকা চলে যাবে সরকারি প্রেসে। জেলাশাসক অর্থাৎ জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে মুদ্রিত তালিকা এলে তা DCRC সেলে যাবে। তারপর তা রিসিভ করবেন ভোট কর্মীরা। এই গোটা প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন করতে হবে, তার ট্রেনিং আজ। 

ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট সংক্রান্ত ফাস্ট লেভেল চেকিং প্রশিক্ষণ শিবির। লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবেই এই এফএলসি শুরু করেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। সমস্ত জেলার জেলাশাসক এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে পর্যবেক্ষক এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করেছেন। 

আগামী ১ অগস্ট থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই ফার্স্ট লেভেল চেকিং প্রশিক্ষণ শিবির চলবে রাজ্য জুড়ে। ৫ শতাংশ ইভিএম চেক করা হয় এই এফএলসি চেকিংয়ে। ১ শতাংশ ইভিএম মেশিনকে ১২০০ ভোট দিয়ে চেকিং করা হয়। তাতে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট যথাযথ কাজ করছে কিনা, খতিয়ে দেখা হয় তা-ও। ২ শতাংশ মেশিনে ১০০০ ভোট দেওয়া হয়। এছাড়া আরও ২ শতাংশ মেশিনে ৫০০ ভোট দেওয়া হয়। এভাবে ইভিএমের লোড টেস্টিং হয়। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরও পরবর্তী পর্যায়ে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে ডাকা হবে।