প্রায় শুঁড়ের নাগালে! বুনো হাতির কবল থেকে কোনোক্রমে বাঁচলেন মহিলা
বিঘের পর বিঘে ফসল নষ্ট করে চলে গিয়েছে বুনো হাতির পাল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাতির হামলা থেকে কোনও রকমে প্রাণে বাঁচলেন এক মহিলা। ওই গ্রামের ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হল। মালবাজার মহকুমার ওয়াশাবাড়ি ডোবা বস্তি সংলগ্ন রাইবস্তি এলাকার বুধবার রাতের ঘটনা।
মালবাজার (Malbazar) ওই মহিলার নাম অমুল ঘটবার। রাতে অতর্কিতে হাতির হামলার বিষয়ে তিনি জানান, বুধবার রাত ১১টায় গ্রামে সবাই যখন ঘুমে বিভোর, তখন মংপং জঙ্গল থেকে ২০-৩০টি হাতির একটি দল বস্তিতে তাণ্ডব চালায়। হাতির দলটি প্রথমে ভুট্টা খায়। এরপর সবজি খেত তছনছ করে। এতেও পেট ভরে না তাদের। এর পর তারা হামলা চালায় এলাকাবাসীর ঘরে। ঘর ভেঙে দেয়। হাতির কবলে পড়া তেমনই একটি বাড়ি থেকে কোনও ক্রমে পালিয়ে বাঁচেন ওই অমুল। অমুল বলেন, আর একটু হলেই হাতির শুঁড়ের নাগালে চলে যেতাম!
আরও পড়ুন: আচমকা ঢুকে পড়ল হাতির পাল, আতঙ্ক ছড়াল সেনা ছাউনিতে
বুনো হাতি (Tusker) ঘরে রাখা চাল,আটা, ধান খেয়ে সাবাড় করে চলে যায়। এসব দেখে বিধ্বস্ত গ্রামবাসীরা বলছেন, হাতির হামলায় তাঁরা খুবই অসুবিধায় পড়লেন। একে লকডাউন চলছে। তায় কাজ নেই। কাজ করার উপায় নেই। রোজগারও নেই। এখন এই পরিস্থিতিতে কী করে রোজগার হবে, কী ভাবে পেটের খাবারটুকু জোগাড় হবে, তারই কোনও কূল-কিনারা পাচ্ছেন না তাঁরা।
এলাকার বাসিন্দা অমিত তির্কী জানান, এই এলাকার মানুষ কৃষিনির্ভর। কৃষিকাজ করেই চলে। হাতিরা তিন বিঘা জমিতে লাগানো ভুট্টা শেষ করে দিয়ে গেল। এখন কী হবে? একরাশ হতাশা তাঁর গলায়।
এখন গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, হাতি পরদিন (অর্থাত্, আজ বৃহস্পতিবার) রাতে আবার আসতে পারে। ফলে এবার তাঁরা আগেভাগেই বনবিভাগের (Forest Dept) কাছে অববেদন জানিয়ে রেখেছেন, রাতে যাতে তাঁদের গ্রামাঞ্চলে বন বিভাগের তরফে নজরদারি থাকে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি বনবিভাগের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছে।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: বাঁধ ভাঙলে ভেসে যাবে শহর, রাতেই মেরামতির কাজে নেমে পড়ল আরামবাগ পুরসভা