''পশ্চিমবঙ্গে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে'', দাবি বিজেপি নেতার
গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রচারে আসেন শঙ্করবাবু। উত্তর দিনাজপুরের জেলা বিজেপি সভাপতি শঙ্করবাবু ওই দিন দাড়িভিটে দাঁড়িয়ে বলেন, 'পুলিস যেন গ্রামে ঢুকতে না পারে। ঢুকলে যেন বেরোতে না পারে। নিরীহ গ্রামবাসীদের পুলিস গ্রেফতার করতে এলে গাছে বেঁধে পেটান। বিজেপি আপনার সঙ্গে আছে।'
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়েছে, আদালতে তোলার সময় এমনটাই জানালেন বিজেপি নেতা শঙ্কর চক্রবর্তী। শনিবার একটি মামলায় শঙ্করবাবুকে রায়গঞ্জ আদালতে পেশ করে পুলিস। তখনই সাংবাদিকদের সামনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
দাড়িভিট কাণ্ড নিয়ে সেই গ্রামে দাঁড়িয়ে পুলিস পেটানোর নিদান দিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী। গত রবিবার সেই ঘটনার পরই শঙ্করবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিস। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করতে থাকে পুলিস। তার মধ্যে ১টি মামলায় বর্তমানে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন শঙ্করবাবু। আপাতত তাঁর ঠিকানা হয়েছে বালুরঘাট সংশোধনাগার। তবে পুলিসকে হুমকি দেওয়ার মামলায় ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার শঙ্করবাবুর বিরুদ্ধে নতুন মামলা রুজু করে পুলিস। দিলীপ ঘোষকে হেনস্থার বিরুদ্ধে গত মাসে রায়গঞ্জ শহরের বিদ্রোহী মোড়ে পুলিসের অনুমতি না নিয়ে মিছিল করা ও পুলিসকে কাজে বাধা দেওয়ার মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় শনিবার শঙ্করবাবুকে আদালতে পেশ করে পুলিস।
বদল ফদল বুঝি না, ক্ষমতায় এলে বদলা হবে, পুলিসকে হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের
শনিবার আদালতের লক আপে নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ''" মিছিল করার জন্য জেলে যেতে হচ্ছে, এরপর অনশন ছাড়া আর কোনও আন্দোলন করা যাবেনা। এরাজ্যে গনতান্ত্রিক পরিবেশ শেষ হয়ে গিয়েছে। তার কটাক্ষ রাজ্যে জরুরী অবস্থা ঘোষনা হয়ে গিয়েছে।''
গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রচারে আসেন শঙ্করবাবু। উত্তর দিনাজপুরের জেলা বিজেপি সভাপতি শঙ্করবাবু ওই দিন দাড়িভিটে দাঁড়িয়ে বলেন, 'পুলিস যেন গ্রামে ঢুকতে না পারে। ঢুকলে যেন বেরোতে না পারে। নিরীহ গ্রামবাসীদের পুলিস গ্রেফতার করতে এলে গাছে বেঁধে পেটান। বিজেপি আপনার সঙ্গে আছে।'
নিরীহ গ্রামবাসীদের গ্রেফতার করতে এলে পুলিসকে গাছে বেঁধে পেটান, নিদান বিজেপি নেতার
শুধু পুলিসকর্মীদেরই হুমকি দিয়ে ক্ষান্ত হননি শঙ্করবাবু। পুলিসের পরিজনদের বিরুদ্ধেও বিষোদ্গার করেন তিনি। বলেন, 'রাস্তায় কোনও অসুস্থ ছাগল দেখলে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। কিন্তু পুলিসকর্মীর ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাবেন না।' সেদিন উত্তর দিনাজপুরের পুলিস সুপারকেও চ্যালেঞ্জ ছোড়েন শঙ্করবাবু। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে প্রশাসনিক মহল থেকে। এই ভাষণের ৫ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের দোমোহনি থেকে শঙ্কর চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে করণদিঘি থানার পুলিস।