Suri TMC: সিউড়ি-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কাজল শাহ-সহ গ্রেফতার ১৫...
Suri TMC: সিউড়ির বাঁশজোড়া গ্রামের শীলপাড়া এলাকায় রয়েছে হুগলি নদীর বালিঘাট। সেই বালিঘাট কার দখলে থাকবে এই নিয়ে সেখানে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। একটি গোষ্ঠীর নেতা কাজল শেখ, অপর গোষ্ঠীর নেতা আতাই নামের এক ব্যক্তি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতকাল শনিবার সিউড়িতে এক পুকুরপাড়ে পাওয়া গিয়েছিল এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। সঙ্গে ছিল বোমাবাজি! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। অনুমান করা হয়েছিল, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে যুবককে। গতকালের সিউড়ির সেই ঘটনায় ঘটনার মূল অভিযুক্ত কাজল শাহ-সহ গ্রেফতার হল ১৫ জন। পুলিসসূত্রে খবর, তাদের আজ, রবিবার সিউড়ি আদালতে তোলা হবে। জানা গিয়েছিল, সিউড়ির বাঁশজোড়া গ্রামের শীলপাড়া এলাকায় রয়েছে হুগলি নদীর বালিঘাট। সেই বালিঘাট কার দখলে থাকবে এই নিয়ে সেখানে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। একটি গোষ্ঠীর নেতা কাজল শেখ, অপর গোষ্ঠীর নেতা আতাই নামের এক ব্যক্তি। এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত কাজল। বীরভূমে জেলাশাসকের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত সে।
আরও পড়ুন: East Bardhaman: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, একসঙ্গে আটজনের পদত্যাগ পূর্ব বর্ধমানে
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম শেখ ফয়জল। আতাই গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ফয়জলকে দলে টানার চেষ্টা করেছিল কাজল। রাজি না হওয়াতেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। এদিন রাতে গ্রামের পুকুরপাড়ে ফয়জলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এদিকে ততক্ষণে এলাকায় শুরু হয়ে গিয়েছে বোমাবাজি! শেষ খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিসের ভূমিকায় এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ।
এর আগে, হালিশহরে দলীয় কার্যালয়েই আক্রান্ত হন তৃণমূল কাউন্সিলর। যাঁর বিরুদ্ধে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। তিনি শাসকদলেরই নেতা! হালিশহর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাস ওরফে শিবা সন্ধ্যেবেলায় তেঁতুলতলা এলাকার দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন। কাউন্সিলরের অভিযোগ, ঘড়িতে তখন সাড়ে ন'টা। রাতে পার্টি অফিসে ঢুকে তাঁর উপর অতর্কিতে হামলা চালান তৃণমূল নেতা দেবাশিস পাল। এমনকী, প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়! কাউন্সিলরের উপর হামলার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দেবাশিস পাল। তাঁর দাবি, 'মারধর করলে তো রক্তাক্ত অবস্থায় থাকতেন। কাউকে ডাকতে পারতেন না। বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছেন কাউন্সিলর। আমরা যখন ভাসান দিয়ে এসে তেঁতুলতলায় দাঁড়ালাম, তখন বাজে মন্তব্য় করতে শুরু করে উনি'।