Cyber Crime: 'ব্যাঙ্কের ফোন নয়, বুঝতেই পারিনি', ওটিপি বলতেই উধাও লাখেরও বেশি টাকা
একটা ফোন এল। বলল, এসবিআই থেকে বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টের ডিটেলটা বলুন। আমার নাম, ডেবিট কার্ডের নম্বর সবই বলল। আমি বললাম কার্ডে আমি কিছু বুঝতে পারছি না। ও বলল, কেউ যদি বাড়িতে থাকে তাকে দিন ফোনটা
![Cyber Crime: 'ব্যাঙ্কের ফোন নয়, বুঝতেই পারিনি', ওটিপি বলতেই উধাও লাখেরও বেশি টাকা Cyber Crime: 'ব্যাঙ্কের ফোন নয়, বুঝতেই পারিনি', ওটিপি বলতেই উধাও লাখেরও বেশি টাকা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/11/27/397824-6.png)
দেবব্রত ঘোষ: সাইবার প্রতারণার শিকার অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মী। কয়েক মুহূর্তে তাঁর দুটি অ্য়াকাউন্ট থেকে গায়েব ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ব্যাঁটরা থানার পাওয়ার হাউস অঞ্চলে।
পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার মিনতি সরকারের স্টেট ব্যাংকের এটিএম কার্ডটি চলতি মাসেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবে। ফোন করে এমনটাই বলা হয় তাঁকে। প্রতারক ফোন করে মিনতি দেবীকে জানায়, নতুন এটিএম কার্ড পেতে গেলে তাদের বেশকিছু তথ্য জানাতে হবে। একই সঙ্গে জানায় তার আরেকটি একাউন্টের এটিএম কার্ড আগামী বছর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। সেটিও একইসঙ্গে বদল করে নতুন কার্ড দেওয়া হবে। এরপর জানাতে চাওয়া হয় কিছু তথ্য। এরপরে তার ফোনে একটি ওটিপি আসে। সেই ওটিপি বলতেই প্রায় ফাঁকা হয়ে যায় অ্যাকাউন্ট।
আরও পড়ুন-সোনালি বুটজোড়া পরে বিশ্বকাপ মাতাচ্ছেন মেসি, জেনে নিন এই জুতোর কী বিশেষত্ব?
ওই ওটিপি বলার পরপরই এক এক করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার এসএমএস আসতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। সঙ্গে সঙ্গে তারা ছুটে যান স্থানীয় এসবিআই ব্রাঞ্চে । দুটি অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানান ব্যাঁটরা থানায় ও হাওড়া সিটি পুলিসের সাইবার ক্রাইম বিভাগে । এখন অবসর জীবনে এত বড় ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী পরিবার ।
মিনতি দেবী বলেন, একটা ফোন এল। বলল, এসবিআই থেকে বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টের ডিটেলটা বলুন। আমার নাম, ডেবিট কার্ডের নম্বর সবই বলল। আমি বললাম কার্ডে আমি কিছু বুঝতে পারছি না। ও বলল, কেউ যদি বাড়িতে থাকে তাকে দিন ফোনটা। তখনই স্বামী ঘরে ঢোকে। তখন ওকে ফোন দিয়ে দিই। ফোনে একটি ওটিপি আসে। সেটা বলে দিতেই ওই বিপুল টাকা অ্য়াকাউন্ট থেকে বেরিয়ে যায়। এখন কী করব বুঝতে পারছি না। আচমকা ফোন আসায় কেমন একটা হিপনোটাইড হয়ে গেলাম। এমনভাবে আমার অ্য়াকাউন্টের সবকিছু বলে দিচ্ছিল যে ওকে ব্যাঙ্ককর্মী নয় বলে মনেই হয়নি।