টাকা ফেললেই মিলবে চাকরি, প্রাথমিক শিক্ষা দফতরেই ধরা পড়ল প্রতারক

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দেহ ঘনীভূত হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি নারায়ণ সাঁতরা মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদে বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় দুজনকেই পুলিশ আটক করে কোতয়ালি থানায় নিয়ে যায়। যদিও অভিযুক্ত জয়ন্ত ভট্টাচার্যের দাবি, তিনি পেশায় আইনজীবী । 

Updated By: Feb 7, 2019, 07:58 PM IST
টাকা ফেললেই মিলবে চাকরি, প্রাথমিক শিক্ষা দফতরেই ধরা পড়ল প্রতারক

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নামে প্রতারণা চক্রের এক পান্ডাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান।  জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ডিএলেড পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সার্টিফিকেট বিলি চলছিল। তখন দফতরেরই একটি ঘরে বসে দলবল নিয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের শংসাপত্র ভেরিফিকেশন করছিল একদল লোক। টাকা দিলেই চাকরি মিলবে প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছিল তারা। খবর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান নারায়ণ সাঁতরা ওই ঘরে হানা দেন। বাকিরা পালালেও ধরা পড়ে ২ প্রতারক। তাদের কোতয়ালি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বাইরে জটলা দেখে সন্দেহ হয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্মীদের। তারই মধ্যে অভিনন্দন প্রামাণিক নামে এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেন, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছেন জয়ন্ত ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি। সেই সঙ্গে তাঁকে কাউন্সিলিংয়ের জন্যও ডাকা হয়। জানানো হয়, ভেরিফিকেশন এর জন্য সমস্থ আসল নথিপত্র নিয়ে আসতে।
সন্দেহ হওয়ায় প্রাথমিক সংসদের সভাপতি কাছে সবিস্তারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিনন্দন বাবু। এরপরই সংসদের কর্মীরা তৎপর হয়ে দেখে, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের একটি ঘরে বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী নথিপত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঘরের ভিতর ৬-৭জন ব্যক্তি সেই নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন। সংসদ কর্মীরা প্রশ্ন করতেই অধিকাংশ পালিয়ে গেলেও ২ জন ধরা পড়ে যায়। জানা যায়, তাঁদের নাম জয়ন্ত ভট্টাচার্য ও চিরশ্রী দে।

টাকা ফেরতের আগেই কেন বন্ধ কমিশন, সারদা মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দেহ ঘনীভূত হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি নারায়ণ সাঁতরা মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদে বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় দুজনকেই পুলিশ আটক করে কোতয়ালি থানায় নিয়ে যায়। যদিও অভিযুক্ত জয়ন্ত ভট্টাচার্যের দাবি, তিনি পেশায় আইনজীবী । প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে চাকরি প্রার্থীদের হয়ে তিনি হাইকোর্ট একটি মামলা দায়ের করেচিলেন। সেই বিষয়ে এদিন কলকাতা থেকে তিনি মেদিনীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের অফিসে এসেছিলেন। চিরশ্রী দে তারই সহযোগী বলে তিনি জানান। ইতিমধ্যেই দুজনকে আটক করে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ । খতিয়ে দেখা হচ্ছে সংসদের কোনও কর্মী এর সাথে জড়িত কিনা।

.