অভিষেককে ঘিরে কুড়মি বিক্ষোভ, প্রশাসনিক ব্যর্থতা-ষড়যন্ত্রের দিকে আঙুল ঘাঘর ঘেরা কমিটির!
'আমাদের ঘাঘর ঘেরা কমিটিকে যুক্ত করা চেষ্টা চলছে। আমরা এর সঙ্গে যুক্ত নই । আমার নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি। সিবিআই বা বিচারবিভাগীয় তদন্তর দাবি করছি।'
![অভিষেককে ঘিরে কুড়মি বিক্ষোভ, প্রশাসনিক ব্যর্থতা-ষড়যন্ত্রের দিকে আঙুল ঘাঘর ঘেরা কমিটির! অভিষেককে ঘিরে কুড়মি বিক্ষোভ, প্রশাসনিক ব্যর্থতা-ষড়যন্ত্রের দিকে আঙুল ঘাঘর ঘেরা কমিটির!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/27/422582-abhishek.jpg)
পিয়ালি মিত্র: কুড়মি বিক্ষোভের মুখে অভিষেক। মন্ত্রীর গাড়িতেও হামলা-ভাঙচুর।সেই ঘটনায় দায় এড়াল কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি। পুরোপুরি দায়ভার অস্বীকার করলেন ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্ব। পালটা প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ করলেন তাঁরা। পাশাপাশি একইসঙ্গে যড়যন্ত্রের অভিযোগও তুললেন।
প্রসঙ্গত, গতকালকের বিক্ষোভের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন যে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুড়মি সমাজ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করুক। তারা জানাক, এই ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত আছে কি নেই। তারপরই এদিন ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্ব সাংবাদিক বৈঠক করেন। ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বের স্পষ্ট বক্তব্য, 'আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ঘেরাও করার জন্য ছিলাম। আমরা পুলিসকে জানিয়েছিলাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাঁড়াননি। তারপর একটা ঘটনা ঘটে। মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা হয়। আমরা তার নিন্দা করছি। আমাদের ঘাঘর ঘেরা কমিটিকে যুক্ত করা চেষ্টা চলছে। আমরা এর সঙ্গে যুক্ত নই । আমার নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি। সিবিআই বা বিচারবিভাগীয় তদন্তর দাবি করছি।'
তাদের আরও বক্তব্য, 'জেলা পুলিসের তরফ থেকে বার বার অনুরোধ করা হয়। আমরা আশস্ত করেছিলাম। ঘাঘর ঘেরার কেউ সেখানে নেই। তারপর অন্ধকারে কারা কী ঘটিয়েছে তার দায় ঘাঘর ঘেরা কমিটির নয়। ঘাঘর ঘেরা কমিটির কেউ যুক্ত নয়। পুলিসের আরও অ্যাক্টিভ হওয়া উচিত ছিল। কেন কোনও লাইটের ব্যবস্থা করা হল না? সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হল না? আমরা মনে করছি, এটা পরিকল্পিত ঘটনা। বাঁকুড়াতেও একই ঘটনার চেষ্টা চলে। ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে আমরা তাদের শাস্তি চাইব। বরং এই যড়যন্ত্রের পিছনে শাসক বা বিরোধী দল যে কেউ-ই থাকতে পারে। কারণ আমরা প্রথম থেকে বলেছিলাম, কোনও রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের জন্য আমরা দেওয়াল ব্যবহার করতে দেব না।'
ঝাড়গ্রাম থেকে তখন লোধাশুলির পথে অভিষেক। রাতে স্থানীয় গড় এলাকায় রাস্তার পাশে জমায়েত করেন কুড়মি আন্দোলনকারীরা। এরপর অভিষেকের কনভয় আসতেই শুরু হয়ে যায় স্লোগান-বিক্ষোভ। পুলিসি নিরাপত্তা দিয়ে দ্রুত বের করে নিয়ে যাওয়া হয় কনভয়। কিন্তু কিছুটা দূরে গিয়ে যখন গাড়ি থেকে হাঁটতে শুরু করেন অভিষেক, তখনও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কুড়মিরা। অভিষেকের কনভয়ের পিছনে ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। বাইক চালিয়ে আসছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও। তাঁদের উপর হামলা হয়। মন্ত্রীর গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
এর আগে, বাঁকুড়ায় ২ জায়গায় অভিষেকের কনভয় আটকে দিয়েছিলেন কুড়মি আন্দোলনকারীরা। তখন গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন অভিষেক। তারপর ঝাড়গ্রামে ফের বিক্ষোভ। উল্লেখ্য, সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে ঝাড়গ্রাম পুলিস। খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন, Sougata Roy: 'সব পুলিসকর্মী ভালো নয়, ঘুষ খায় কাজ করে না!' বিস্ফোরক সাংসদ সৌগত