সন্দেশখালি সংঘর্ষের পরই দিল্লি উড়ে গেলেন রাজ্যপাল, বৈঠক মোদী-অমিত শাহের সঙ্গে
সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সন্দেশখালিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ ঘিরে রাজ্য রাজনীতি যখন উত্তাল, ঠিক তখনই দিল্লি উড়ে গেলেন রাজ্যপাল। রবিবার সকালে দিল্লির বিমান ধরেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। সূত্রের খবর, দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন রাজ্যপাল। প্রশাসনিক বিষয় নিয়েই সেই বৈঠক হবে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, আজ অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে কেশরীনাথ ত্রিপাঠির। আগামিকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, ফ্ল্যাগ খোলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালির ন্যজাটের হাটগাছি এলাকা। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে তিনজনের দেহ। সংঘর্ষে নিহত তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লার দেহ শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে, উদ্ধার হয়েছে প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল নামে ২ বিজেপি কর্মীর দেহ। কিন্তু উভয়পক্ষেরই দাবি, তাদের আরও অনেক কর্মী নিখোঁজ। তৃণমূলের দাবি, তাদের ৬ কর্মী নিখোঁজ রয়েছে। পাল্টা বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের দাবি, তাদের ৫ জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে।
এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইছে বিজেপি। গোটা ঘটনাটি গতকালই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানান মুকুল রায়। রাতেই সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এরপরই আজ সকালে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি উড়ে গেলেন রাজ্যপাল। সাম্প্রতিক পরস্থিতির বিচারে যা নিঃসন্দেহে তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
আরও পড়ুন, 'মুকুল-সায়ন্তনের উস্কানিতেই হামলা, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না,' পাল্টা দাবি 'অভিযুক্ত' শাহাজাহানের
উল্লেখ্য, সংঘর্ষের ঘটনায় দু-দলই একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে। মুকুল রায় অভিযোগ করেছেন, "শেখ শাহাজাহানের নেতৃত্বেই এই হামলা হয়েছে। বিজেপির ৫ জন কর্মীকে গুলি করে, কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিস কোনও সহযোগিতা করছে না। পুরো ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করছে।" অন্যদিকে, অভিযুক্ত সন্দেশখালি ১ নম্বরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি শেখ শাহাজাহানের দাবি, "সায়ন্তন বসু ও মুকুল রায়ের উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। আমার নামে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না।"