নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষিতা দলিত তরুণীর দেহ যেভাবে পুলিস জোর করে সত্কার করেছে তা বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার টুইট করে এনিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক। তিন বলেন, উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ভয়ঙ্কর এক ঘটনা ঘটেছে মোদীজির জমানায়। তিনি নীরব। টানা ১৫ দিন লড়াই করার পর ক্ষতবিক্ষত ওই নির্যাতিতা হার মেনেছেন। এখন মৃতদেহেরও অবমাননা করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।


আরও পড়ুন-বাবরির রায়: অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খারিজ, ৩২জনই বেকসুর খালাস



উল্লেখ্য, টানা পনের দিন লড়াই করার পর মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে মৃত্যু হয় উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের শিকার দলিত তরুণীর। অবস্থার অবণতি হওয়ায় তাঁকে আলিগড়ের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দিল্লি পাঠানো হয়েছিল।


এদিকে, মারা যাওয়ার পরও বিড়ম্বনার সীমা নেই। মঙ্গলবার ওই তরুণীর মৃতদেহ কব্জা করে ফেলে পুলিস। পরিবারের হাতে দেহ না দিয়ে তা হাথরসে নিয়ে আসে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। পরে গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে গ্রামেরই একটি জায়গায় রাখা হয়। মৃত তরুণীর পরিবার দেহ ঘরে নিয়ে যেতে চাইলে তাতে রাজী হয়নি প্রশাসন। অবশেষে গভীর রাতে আত্মীয়দের কাছ থেকে দেহ জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতের অন্ধকারে সত্কার করে দেয় পুলিস। কোনও ধর্মীয় রীতি  মেনে তা করা হয়নি। পুলিসই চিতা সাজিয়ে দেহ পুড়িয়ে দেয়।


আরও পড়ুন-বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় ঘোষণা করে 'ফইজাবাদ বৃত্ত' সম্পূর্ণ করলেন বিচারক যাদব


হাথরসের দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও মৃতদেহ সত্কার নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ধর্ষণের ঘটনার ৯ দিন পর পুলিস এফআইআর করলেও যোগী বলেছে দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।