'বউকে সন্দেহ হত, গলায় গামছা পেঁচিয়ে মেরেছি', ধরা পড়ে কবুল স্বামীর
শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার অশোকনগরের কল্যাণগড় পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে খুন হন গৃহবধূ শান্তা বিশ্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদন: খুনের ৩ দিন পর ধরা পড়ল অভিযুক্ত স্বামী। কীভাবে খুন তাও পুলিসের কাছে কবুল করল সে।
শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার অশোকনগরের কল্যাণগড় পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে খুন হন গৃহবধূ শান্তা বিশ্বাস(৩৫)। প্রতিবেশীদের দাবি ছিল, শুক্রবার রাতে শান্তার সঙ্গে তার স্বামীর প্রবল অশান্তি হয়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত শান্তাকে বাড়িতে দেখা যায়নি। তার পর থেকে স্বামী বিশ্বনাথ বিশ্বাসেরও দেখা মেলেনি। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা খুলে দেখেন বিছানার মধ্যে পড়ে রয়েছে শান্তার মৃতদেহ।
ওই ঘটনার পর থেকেই উধাও হয়ে যান শান্তার স্বামী বিশ্বনাথ। ফলে সন্দেহ গিয়ে পড়ে তার উপরে। তদন্ত শুরু করে অশোকনগর থানার পুলিস। গতকাল রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হিজলিয়া মোড থেকে বিশ্বনাথকে আটক করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, জেরায় বিশ্বনাথ স্বীকার করেছে, গলায় গামছার ফাঁস দিয়েই স্ত্রীকে খুন করেছে সে। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে আজ বিশ্বনাথ বলেন, সন্দেহের বশে বউকে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলেছি।
বুধবার বারাসত আদালতে তোলা হয় বিশ্বনাথকে। পুলিসে তাকে ৫ দিন হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন-Gangarampur: দাদাকে খাবার দেওয়ার বদলে মোবাইলে মগ্ন, মা বকাবকি করতেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল কিশোর