আগামী সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা, ভাসতে পারে ডুয়ার্সের একাংশ

 সোমবার থেকেই উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে একটানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সেই বৃ্ষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

Updated By: Jun 19, 2019, 12:25 PM IST
আগামী সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা, ভাসতে পারে ডুয়ার্সের একাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণবঙ্গে হাহাকারের মধ্যেই উত্তরবঙ্গ ভাসার আশঙ্কা। আগামী সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সোমবার থেকেই উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে একটানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সেই বৃ্ষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

রবিবারই উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে। হাওয়া অফিসের মতে, ২৪ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে এই ৫ দিনে প্রায় ২৫০- ২৮০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।  সোমবার রাতে একটানা বৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ে। পাশাপাশি বৃষ্টি হয়েছে সমতলেও। আর তারই ফলে হঠাৎ বেড়ে যায় তিস্তার জল। তিস্তার জল বেড়ে যাওয়ায় গাজলডোবায় খুলে দেওয়া হয় তিস্তার বেশ কিছু লকগেট। তিস্তার জলের মাত্রা বিপদজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসনের তরফে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। সোমবার রাতে প্রবল বৃষ্টির পরে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ এলাকায় একাধিক গ্রামে ঢুকে পড়ে তিস্তার জল। আর তারই মধ্যে এল ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।

আরও পড়ুন - একটানা বৃষ্টি, তিস্তায় জলস্ফীতিতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি বাদাম চাষিদের
 
উত্তরবঙ্গে বর্ষার আগমন হলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনই মিলছে না স্বস্তি। চলতি মাসে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকার সম্ভাবনা কম। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত, অর্থাৎ, আগামাী এক মাসে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জায়গায় থাকবে বৃষ্টির ঘাটতি। দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম- এই চার জেলায় রয়েছে সর্বাধিক ঘাটতির সম্ভাবনা। এই চার জেলায় গড়ে দিনে ৩ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃ্ষ্টি হবে। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতায় বৃষ্টির ঘাটতি থাকবে দিন প্রতি দেড়-দুই মিলিমিটার। বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।

চলতি সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। নিম্নচাপ কাটলে তবেই বলা যাবে কবে হবে বর্ষার আগমন। তত দিন বর্ষার জন্য অপেক্ষা করতে হবে দক্ষিণবঙ্গকে। তবে পরবর্তীতে এই ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

 

.