Jalpaiguri: সঞ্জয়ের পর ফের সিভিক-আতঙ্ক! এবার উত্তরে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ...
Jalpaiguri: এবার ফের আর এক সিভিক পুলিসের কীর্তিতে উঠল ঝড়। জানা গিয়েছে, গৃহবধূকে সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। সেই প্রতিশ্রুতিকে কাজে লাগিয়ে লাগাতার সহবাসের অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে।
প্রদ্যুত্ দাস: আরজি করে চিকিত্সক-পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনে ঘটনায় উত্তাল গোটা বাংলা। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ধৃত সিভিক পুলিস সঞ্জয় রায়। ঘটনার তদন্তের পর সঞ্জয়ের একের পর এক তাজ্জব কীর্তি সামনে এসেছে। এবার ফের আর এক সিভিক পুলিসের কীর্তিতে উঠল ঝড়। জানা গিয়েছে, গৃহবধূকে সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। সেই প্রতিশ্রুতিকে কাজে লাগিয়ে লাগাতার সহবাসের অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে। এমনকি গৃহবধূ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চাপ ও হুমকি সিভিকের। একইসঙ্গে গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ধর্মপুর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শেফালী বসাক নামে পাশের বাড়ির ওই মহিলার সঙ্গে তার ২ বছরের শারীরিক সম্পর্ক অভিযুক্ত মিঠু অধিকারী নামে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের। গৃহবধূ শেফালী বসাক গত ৮ সেপ্টেম্বর ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার আরও অভিযোগ যে পুলিস এখন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর পুলিস সুপারের কাছেও তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। আর এরপর থেকে নতুন করে ধমক চমক শুরু হয়েছে। তাই আজ ফের পুলিস সুপারের দারস্থ হন ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী। পুলিস সুপার আজও তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার মিঠু অধিকারীর শ্বশুর স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তিনি ওই পরিবারকে হুমকি দিয়েছেন। অপরদিকে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার মিঠু অধিকারীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তার ফোন সুইচ অফ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিস সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানিয়েছেন অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত গ্রেফতার হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আরজি করকাণ্ডে এমন জঘন্য অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের রক্ষা করার জন্য আইনজীবী পাওয়া কঠিন। যেখানে এই মামলা নিয়ে সারা রাজ্য় এমনকী দেশ জুড়ে ভয়ংকর প্রতিবাদ চলছে। সূত্রের খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে প্রথমে মামলা লড়তেই চাননি কোনও আইনজীবী। পরে আদালত কর্তৃক কবিতাকে নিযুক্ত করা হয়েছে এই মামলা লড়ার জন্য।
কে এই কবিতা সরকার? ৫২ বছর বয়সী একজন আইনজীবী, তার ২৫ বছরের আইনি কেরিয়ারে সবচেয়ে কঠিন মামলা পেয়েছেন। তাকে শিয়ালদহ আদালত আরজি কর ধর্ষণ-খুনের অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পক্ষে সওয়াল করতে বলেছে। কারণ অন্যকোনও আইনজীবী তা করতে প্রস্তুত নয়, রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ (SALSA)-এর শিয়ালদহে একমাত্র স্থায়ী আইনজীবী আদালতে সঞ্জয়ের হয়ে লড়ছেন৷
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)