Jalpaiguri: এসির আওয়াজে অতিষ্ঠ, শপিং মল খুলতেই দিলেন না আবাসনের বাসিন্দারা
সকাল থেকেই শপিং মলের সামনে বসে পাড়ার লোকজন। তাদের বাড়ি ওই মলের পেছনেই। মলের এসির আওয়াজ ও দুষিত হাওয়ার দাপটে তারা থাকতে পারছেন না। বহুবার বলেও কোনও কাজ হয়নি। এর প্রতিবাদেই আজ সকাল থেকে জলপাইগুড়ির উকিল পাড়ার ওই মলের সামনে বসে পড়েন মলের পেছনে থাকা অ্যাপার্টমেন্টের মানুষজন।
প্রদ্যুত্ দাস: সকাল থেকেই শপিং মলের সামনে বসে পাড়ার লোকজন। তাদের বাড়ি ওই মলের পেছনেই। মলের এসির আওয়াজ ও দুষিত হাওয়ার দাপটে তারা থাকতে পারছেন না। বহুবার বলেও কোনও কাজ হয়নি। এর প্রতিবাদেই আজ সকাল থেকে জলপাইগুড়ির উকিল পাড়ার ওই মলের সামনে বসে পড়েন মলের পেছনে থাকা অ্যাপার্টমেন্টের মানুষজন।
উকিলপাড়া মোড় সংলগ্ন একটি জায়গায় রয়েছে নামী কোম্পানির ওই মল। সেই মলের পেছনেই রয়েছে শহরের একটি অভিজাত আবাসন। সেখানকার বাসিন্দাদের দাবি, মলের বড় বড় এসি তাদের অ্যাপার্টমেন্টের দিকে মুখ করে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে প্রবল বেগে দুষিত হাওয়া বের হয়। আওয়াজও হয় প্রবল। তাতে ঘরের জানালা খুলতে পারেন না তাঁরা। প্রবল গরমে তাদের সেখানে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
ওই আবাসনের বাসিন্দাদের দাবি, গত এক বছর ধরে তারা এনিয়ে মল কর্তৃপক্ষকে বলে আসছিলেন। কিন্তু তাদের কথায় কানই দেওয়া হয়নি। তরপরেই আজ সকালে তারা মলের সামনে লাইন ধরে বসে পড়েন। এর ফলে সকাল থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত মল খুলতেই পারেনি কর্তৃপক্ষ।
আবাসনের সম্পাদক প্রকাশ সাহা বলেন এই মলের এসির আওয়াজ এবং গরম হাওয়ায় জেরে আমরা কেউ জানলা খুলতে পারি না। গরমে আমাদের জীবন অতিষ্ট। মেশিনগুলির দিক বদলের দাবিতে আমরা গত এক বছর ধরে বহুবার বিভিন্ন ভাবে এদের আবেদন নিবেদন করেছি। এরা বিভিন্ন অছিলায় মেশিন সরাচ্ছে না। তাই আমরা আজ বাধ্য হয়ে এখানে অবস্থানে বসেছি। তবে ল্যান্ডলর্ড ও মল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে সমস্যার সামাধান হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
মলের ম্যানেজার অভিষেক পাঠক বলেন আমরা ল্যান্ড লর্ডকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা আমাদের সবুজ সংকেত দিলেই আমরা কাজটি করে ফেলব।