Viral Video: শিক্ষামূলক ভ্রমণে শিক্ষিকাদের 'নাগিন ডান্স', কোমর দোলালেন প্রধান শিক্ষক!
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক তপব্রত বসুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি প্রথমে এড়িয়ে যান। এরপর প্রমাণ দেখে তিনি কার্যত কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন এবং ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন। ক্ষমাও চান। আগামিদিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেদিকে নজর রাখবেন বলেও জানান প্রধান শিক্ষক।
![Viral Video: শিক্ষামূলক ভ্রমণে শিক্ষিকাদের 'নাগিন ডান্স', কোমর দোলালেন প্রধান শিক্ষক! Viral Video: শিক্ষামূলক ভ্রমণে শিক্ষিকাদের 'নাগিন ডান্স', কোমর দোলালেন প্রধান শিক্ষক!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/05/384512-howrahdance.png)
দেবব্রত ঘোষ: শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়ে স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে শিক্ষকদের চটুল নাচের অভিযোগ। সম্প্রতি শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়েছিল হাওড়ার সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশন (ডে) স্কুলের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক এবং ছাত্ররা। বকখালিতে শিক্ষামূলক ভ্রমণে যান তাঁরা। অভিযোগ, সেই ভ্রমণে গিয়ে বাসের মধ্যে ছাত্রদের সঙ্গে হিন্দি চটুল নাচে মেতে ওঠেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। উদ্যম নাচ থেকে বিরত থাকেননি অন্য শিক্ষিকারাও। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, অন্য একটি ভিডিয়োতে ক্লাসরুমে বসে ছাত্রদের নেশার দ্রব্য হাতেও দেখা গিয়েছে। এই ভিডিয়ো দেখে স্কুলেরই অন্য শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়।
প্রধান শিক্ষক তপব্রত বসুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি প্রথমে এড়িয়ে যান। এরপর প্রমাণ দেখে তিনি কার্যত কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন এবং ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন। ক্ষমাও চান। আগামিদিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেদিকে নজর রাখবেন বলেও জানান প্রধান শিক্ষক। তবে নেশার সামগ্রী নিয়ে পড়ুয়াদের যে ভিডিয়ো ছড়িয়েছে, সেটা তাঁদের স্কুলের ঘটনা নয় বলে দাবি করেন তিনি।
শিক্ষামূলক ভ্রমণে শিক্ষিকাদের 'নাগিন ডান্স', কোমর দোলালেন প্রধান শিক্ষক!#ViralVideo #Zee24Ghanta pic.twitter.com/4U7IidqvXC
— zee24ghanta (@Zee24Ghanta) August 5, 2022
এই ঘটনায় স্কুলের ঐতিহ্য নষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন স্কুলের একাংশের শিক্ষক-শিক্ষিকা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলের ভিতরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিছু সময়ের জন্য দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন শিক্ষকরা। শিক্ষক প্রবধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দ নারায়ণ চৌধুরীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবনমন নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন। প্রাক্তন ছাত্ররা বিষয়টিকে নক্কারজনক দাবি করেন। জেলা স্কুল পরিদর্শক অজয় কুমার পাল জানিয়েছেন, এই ঘটনা অনভিপ্রেত। প্ৰধান শিক্ষককে ইতিমধ্যেই ডেকে পাঠানো হয়েছে এবং লিখিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।