বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার কাজটা করেছি, তৃণমূলে আর ফিরব না: মিহির গোস্বামী

তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন কোচবিহারের বিদ্রোহী বিধায়ক মিহির গোস্বামী

Updated By: Nov 9, 2020, 02:42 PM IST
বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার কাজটা করেছি, তৃণমূলে আর ফিরব না: মিহির গোস্বামী

নিজস্ব প্রতিবেদন: বেশ কিছুদিন আড়ালে থাকার পরে আজ, সোমবার নিজের কার্যালয়ে এসে সাংবাদিক বৈঠক করলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক তৃণমূলের মিহির গোস্বামী। নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা। মিহিরবাবু জানান, বেড়ালের গলায় ঘণ্টা কে বাঁধবে, এটা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে দ্বিধা ছিল, তিনি সেটা বেঁধে দিলেন। 

সম্প্রতি উদয়ন গুহ দলের পঞ্চায়েতদের উদ্দেশ্য করে যা বলেছেন, তাতে তৃণমূলের নীচুতলার নেতারা যে দুর্নীতিগ্রস্ত, সেটাই প্রমাণ হয়, এমনই মনে করেন মিহির গোস্বামী এবং তাতেই তাঁর আপত্তি। তিনি বলেন, শুধু নীচুতলার নেতা-কর্মী কেন, দলের উপরের নেতারাও দুর্নীতিগ্রস্ত। উদয়ন আগামী ছ'মাসের জন্যে মানুষের খাবার মানুষের মুখে তুলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। 
মিহিরবাবু দাবি করেন, দোলা সেনও প্রায় একই ধরনের কথা বলে নীচুতলার দলীয় নেতাকর্মীদের অপমান করেছেন। মিহিরবাবু জানান, দোলার বক্তব্য ছিল-- ৭৫ শতাংশ দলকে দিন, ২৫ শতাংশ নিজের রাখুন। মিহিরের আপত্তি, দোলার এই কথায় দলের দুর্নীতিগ্রস্ততার বিষয়টিই সিলমোহর পেয়ে যায়। ফলে তিনি অপমানিত বোধ করছেন। মিহিরবাবুর বক্তব্য, যেসব বিধায়ক ও সাংসদ দলীয়কর্মীদের এ ভাবে অসম্মান করছেন, তাঁদের এ বার নিজেদের দিকেও তাকানো দরকার। 

মিহিরবাবুর সব চেয়ে ক্ষোভের জায়গা, উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনা। তাঁর মতে, যা আগেও ছিল, এখনও চলছে। মিহির জানান, সব কিছুই কলকাতাকেন্দ্রিক। কিছু নেতা সব কিছু কলকাতা থেকে নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং তাঁদের সিদ্ধান্ত এখানকার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। 

৩ অক্টোবর দলের সব দায়িত্ব-কর্তব্য থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন মিহির। আগামী দিনে কোন দলে যোগ দেবেন এই প্রশ্নে তাঁর সাফ কথা-- অনেকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিজেপির সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি অবশ্য এখনই কিছু ঠিক করেননি। তবে তিনি যে আর তৃণমূলে ফিরবেন না, সেকথাটা এক প্রকার নিশ্চিত করে দিয়েছেন।  

শুভেন্দু অধিকারীর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি কিছু না বলে মিহিরবাবু জানান, শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে তাঁর ৪০ বছরের সম্পর্ক!

আরও পড়ুন: লতায়-পাতায় বাইডেন তা হলে ভারতেরই লোক!

.