Suvendu On CAA: শুধু সময়ের অপেক্ষা, সিএএ কার্যকর হলে বাতাসা ছড়িয়ে উত্সব হবে
কুণাল ঘোষ বলেন, মুখমন্ত্রী-সহ আমাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বলেছেন সিএএ আমাদের রাজ্যে এসব জিনিস আমরা অনুমোদন করি না। যাদের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তারা নাগরিক
বিশ্বজিত্ মিত্র: সিএএ পাস হলেও দেশে তা লাগু করতে পারেনি কেন্দ্র। তবে শুভেন্দুর দাবি, বাংলায় সিএএ শুধু সময়ের অপেক্ষা। নতুন বছরে রাজ্যে সিএএ কার্যকর হলে উত্সব হবে। পশ্চিমবঙ্গে বিশেষকরে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে যথেষ্ট চাপে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতারা বারে বারে সিএএ কার্যকর করার কথা বললেও তা কার্যকর এখনও হয়নি। এনিয়ে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে মতুয়াদের মধ্যে।
আরও পড়ুন-আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে আমেরিকায়, এবার করোনার নয়া এই প্রজাতির দেখা মিলল গুজরাটেও
শনিবার ধানতলায় দলের এক সভায় এনিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আজ এই বছরের শেষ দিনে হরিচাঁদ ঠাকুর, অনুকুল ঠাকুরকে বলব, ঠাকুর নতুন বছরে আমাদের সিএএ কার্যকর করে দাও। আমরা যেন সিএএ কার্যকর করে বাতাসা ছড়িয়ে হরির লুট করে, ডঙ্গা বাজিয়ে বিজয় উত্সব করতে পারি। সিএএ কার্যকর শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে এটুকু আপনাদের আমি বলে যেতে পারি।
শুভেন্দু-সব বিজেপির একাধিক নেতা সিএএ কার্যকর করা নিয়ে বহুবার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কার্যকর হওয়া তো দূরের কথা এনিয়ে দিল্লি বিজেপি নেতারাও অনেকটাই চুপ। পাশাপাশি সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী বারবার বলে আসছিলেন ডিসেম্বরে ধামাকা হবে। তিনটি তারিখও দিয়েছিলেন। তেমন কোনও রাজনৈতিক ওলটপালট হয়নি। ফলে শুভেন্দুর সিএএ মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক হতে পারে।
সিএএ নিয়ে শুভেন্দুর ওই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মুখমন্ত্রী-সহ আমাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বলেছেন সিএএ আমাদের রাজ্যে এসব জিনিস আমরা অনুমোদন করি না। যাদের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তারা নাগরিক। যাদের ভোটের উপরে দাঁড়িয়ে সবাই সরকার গড়েছেন, এমএলএ, এমপি হয়েছেন তারপরেও আবর নতুন করে নাগরিকত্বের প্রমাণ! এটা হতে পারে না। রইল বাকী অনুপ্রবেশ। সেটা একেবারেই সীমান্তের ব্যাপার। বিএসএফ দেখে। এই শুভেন্দু অধিকারী ২ বছর আগে এগুলোরই বিরোধিতা করতেন। তিনি এখন নিজের গ্রেফতারি বাঁচাতে বড়বড় কথা বলবে এসব বাংলার মানুষ বরদাস্ত করবে না।