বেকারত্বের জ্বালা! স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে 'ন্যায্যমূল্যে' কিডনি বিক্রির আবেদন যুবকের

রফিকুল হাসান বলেন, "২০২১ সালে টেট পরীক্ষায় বসি। ভালো পরীক্ষা দিয়েছিলাম কিন্তু কী হল বুঝতে পারিনি। এরপর নানা সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিই। কিন্তু ফলাফলই জানতে পারিনি"।   

Updated By: Jan 15, 2021, 04:29 PM IST
বেকারত্বের জ্বালা! স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে 'ন্যায্যমূল্যে' কিডনি বিক্রির আবেদন যুবকের

নিজস্ব প্রতিবেদন: চাকরি না পেয়ে কিডনি বিক্রির আবেদন যুবকের। সরাসরি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট। রফিকুল হাসান ন্যায্যমূল্যে কিডনি বিক্রি করিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। চরম হতাশায় একাজ করেছেন বলে Zee 24 Ghantaকে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পেতে চান রফিকুল হাসান। 

শাসনের যুবক রফিকূল হাসান। সেই এলাকায় শুধু তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আরও বেশ কিছু যুবক যাঁরা চাকরি না পেয়ে অভাব অনটনে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। সংসারের দায় ঘাড়ে এসে পড়েছে। কিন্তু, রোজগার নেই সেই মতো।

এই ঘটনা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। বাংলা অনার্স নিয়ে গ্র্যাজুয়েশনের পর দীর্ঘদিন চাকরির খোঁজ করেছেন। বহু জায়গায় আবেদন করেছেন। সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিয়েছেন কিন্তু, কাজ মেলেনি। চরম হতাশায় শেষে ফেসবুকে পোস্ট করেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে। লেখেন, "সম্মানীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বেকারত্বের জ্বালা আর নিতে পারছি না। আমি আমার একটা কিডনি বিক্রি করতে চাই। আমার কিডনিটি ন্যায্য মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করলে কৃতজ্ঞ থাকব"। 

রফিকূল হাসান বলেন, "২০২১ সালে টেট পরীক্ষায় বসি। ভালো পরীক্ষা দিয়েছিলাম কিন্তু কী হল বুঝতে পারিনি। এরপর নানা সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিই। কিন্তু ফলাফলই জানতে পারিনি"।   

উত্তর ২৪ পরগণার শাসনে পৌঁছে দেখা গিয়েছে শুধু রফিকূল নয়, আরও অনেকে রয়েছেন। কেউ এম এ পাশ, কেউ গ্র্যাজুয়েট। তাঁরা জানান, যুবশ্রী প্রকল্পে যাঁরা নাম লিখিয়েছিলেন,তাঁরা কেউ কেউ টাকা পান, কেউ কেউ নয়। প্রকল্প থাকলেও টাকা পায় না। তাদের অভিযোগ যাঁরা পরিচিত তাঁরাই টাকা পায় এলাকায়। 

চিত্রশিল্পী সমীর আইচ রফিকুলের পোস্ট সম্পর্কে শুনে বলেন, "বাংলা আরও পিছিয়ে যাবে। রফিকূলের মতো আরও অনেকে আছেন বাংলায়"। সায়নদীপ মিত্র বলেন, "এটাই বাস্তব চিত্র নতুন প্রজন্মের সামনে। একদল প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন বাংলার নতুন প্রজন্ম"। কবি বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেন, "শিক্ষাকতা করার ইচ্ছা থাকে গ্রামের ছেলেমেয়েদের। কিন্তু তাদের কর্ম সংস্থানের কোনও বন্দবস্ত নেই রাজ্যে। এদিকটা ভাবতে হবে সরকারকে"। 

জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম লেখালেই চাকরি দেবেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেউই চাকরি পাননি"। 

রফিকুল হাসান বলেন,  "লেখাপড়া করে সরকারি চাকরি পাব ভেবেছিলাম। প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন ২ কোটি মানুষকে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু কোথায় কী! হতাশায় অভাব অনটনে দিন কাটছে"।  

.