''চাকরি করব না'', লাঠি উঁচিয়ে মুচলেকা লেখানোর চাপ, দাবি দাঁড়িভিটের উর্দু শিক্ষকের
দাঁড়িভিট স্কুলে উর্দু ও সংস্কৃত শিক্ষক নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'চাকরি করবো', মুচলেকা দিতে বলেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। সে দিন দাঁড়িভিট স্কুলে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন উর্দু শিক্ষক মহম্মদ সানাউল্লা। এখনও আতঙ্ক তাড়া করছে ওই শিক্ষক।
দাঁড়িভিট স্কুলে উর্দু ও সংস্কৃত শিক্ষক নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। স্কুলে বিজ্ঞান ও ইংরেজির শিক্ষক নেই বলে দাবি করেছিল পড়ুয়ারা। সেই দাবি থেকেই বিক্ষোভ। আর সেই বিক্ষোভের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন দুই তরুণ। এনিয়ে চলছে রাজনৈতিক টানাটানি। পরিবার থাকে কলকাতায়। ইসলামপুরের এক গোপন আস্তানায় রয়েছেন মহম্মদ সানাউল্লা। সেখান থেকে তিনি বললেন,''আতঙ্কে আছি। ঘরের জানালা খুলতেও ভয় লাগছে''।
মহম্মদ সানাউল্লার দাবি, সেদিন তাঁকে স্কুলে আসতে বলেছিলেন প্রধান শিক্ষক। যোগ দিতে এসে পড়েছিলেন বিক্ষোভের মুখে। লাঠি দেখিয়ে তাঁকে স্কুলের প্যাডে মুচলেকা লিখতে চাপ দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি সানাউল্লার। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে আর দাঁড়িভিট স্কুলে চাকরি করতে চান না বলে জানালেন সানাউল্লা।
কোচবিহারের বাড়িতে জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়েছিলেন দাড়িভিটের সংস্কৃত শিক্ষক তৌরাঙ্গ মল্লিক। সেদিনের কথা বলতে গিয়ে এখনও শিউরে উঠছেন শিক্ষক। করজোড়ে প্রার্থনা করছেন, অন্য কোথাও নিয়োগ করা হোক তাঁকে। তৌরাঙ্গ মল্লিক বলেন,'২০ সেপ্টেম্বর যোগ দিয়েছিলাম। যোগদানের পর বিক্ষোভ শুরু করে দেন ছাত্রছাত্রীরা। ভূগোল, বিজ্ঞানের শিক্ষক নেই বলে তাঁরা দাবি করছিল। নিজেদের দাবিতে অনড় ছিল পড়ুয়ারা। বাড়ি থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল ছিল। তাই ওই স্কুলটি সুবিধাজনক ছিল। আমার বাড়িতে বিভিন্ন রকম সমস্যা রয়েছে''।
.বিক্ষোভ, বোমা, গুলি, দুই কিশোরের অকালমৃত্যু। এখনও ভয়ে, আতঙ্কে সিঁটিয়ে আছেন তৌরাঙ্গ! চাকরির জীবনের প্রথম দিন, যা-যা দেখতে হল, তা বলতে গিয়ে এখনও শিউরে উঠছেন তিনি। বলেন, আমার প্রতিনিয়ত ভয় রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমাকে ওই জায়গায় আর রাখবেন না।
আরও পড়ুন- পুলিসকে হুমকি দেওয়ার ৫ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি নেতা শঙ্কর চক্রবর্তী