Guskara: সরকারি ঘর দখল করে দলীয় কার্যালয়, অভিযুক্ত শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন
Guskara Bus Stand: গুসকরা পুরসভার আগের বোর্ডের সময় গুসকরা থেকে কলকাতা এবং তারাপীঠ পর্যন্ত সরকারি বাস চালুর জন্য তৎকালীন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ২০১৭ সালে পুরসভার তরফে আবেদন জানানো হয়। তিনি আশ্বাস দেন এই স্ট্যান্ড তৈরির বিষয়ে। পরিকাঠামো তৈরিতে পরিবহণ দফতর প্রথম দফায় ৫৭ লক্ষ টাকা দেয়। তাতেই গুসকরা বাসস্ট্যাণ্ডে দু'টি তোরণ ও টিকিট কাউন্টারের ঘর তৈরি হয়।
অরূপ লাহা: সরকারি জমি দখল করে দলীয় কার্যালয় করার অভিযোগ। জানা গিয়েছে সরকারি বাসের টিকিট কাউন্টারের জন্য তৈরি ঘর দখল করে তৈরি হয়েছে এই দলীয় কার্যালয়। অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা বাসস্ট্যাণ্ডেরর এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধীরাও।
পৌরসভার উদ্যোগে গুসকরা থেকে কলকাতা সরকারি বাস পরিষেবা চালুর জন্য বাসস্ট্যাণ্ডে ওই ঘর তৈরি করা হয়। সেটি এখন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ‘পশ্চিমবঙ্গ রোড ট্রান্সপোর্ট শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন'র কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ঘরের দেওয়ালে সংগঠনের নাম লেখা। ভিতরে রয়েছে শাসকদলের নেতানেত্রীদের ছবি।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে অনুব্রত মন্ডল, দিল্লি যাত্রা আটকাতেই এই পথ? উঠছে প্রশ্ন
এখানে উল্লেখ্য গুসকরা পুরসভার আগের বোর্ডের সময় গুসকরা থেকে কলকাতা এবং তারাপীঠ পর্যন্ত সরকারি বাস চালুর জন্য তৎকালীন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ২০১৭ সালে পুরসভার তরফে আবেদন জানানো হয়। তিনি আশ্বাস দেন এই স্ট্যান্ড তৈরির বিষয়ে।
পরিকাঠামো তৈরিতে পরিবহণ দফতর প্রথম দফায় ৫৭ লক্ষ টাকা দেয়। তাতেই গুসকরা বাসস্ট্যাণ্ডে দু'টি তোরণ ও টিকিট কাউন্টারের ঘর তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: Asansol Mine Accident: আসানসোলে খনিতে উলটে গেল ট্রাক্টর!মৃত ১
ইউনিয়নের সভাপতি নূর আলমের অবশ্য দাবি, ‘ঘরটি তৈরির পর থেকে পড়ে রয়েছে। ঘরটি যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, সে জন্য বাস শ্রমিকদের স্বার্থে ব্যবহার করা হয়। সরকারি ভাবে টিকিট কাউন্টার চালু হলেই আমরা ঘর ছেড়ে দেব’। গুসকরার পুরপ্রধান কুশল মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘সরকারি ভাবে যদি ওই ঘর তৈরি হয়, তবে তা সরকারি কাজেই ব্যবহার করা হবে’।
এসবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই’। খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘তোলা আদায়ের জন্য এই সরকারি ঘর দখল করা হয়েছে’। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘দল এসব অনুমতি দেয় না। খোঁজ খবর নিয়ে দেখতে হবে’।