আমোদ-প্রমোদে ভরা জীবন চালাতে অপহরণের নাটক তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীর, পুলিসের জালে ধরা
লকডাউনে মোটা মাইনের চাকরি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন- মোটা মাইনের চাকরি। আর তাই বিলাস বহুল জীবন। কিন্তু যে চাকরির জন্য তাঁর এমন বিলাস বহুল জীবন সেটিই খোয়া যায়। লকডাউনে মোটা মাইনের চাকরি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। সংসার কীভাবে চলবে তা নিয়ে চিন্তা ছিল না। দুশ্চিন্তা ছিল যে বিলাস বহুল জীবনে তিনি অভ্যস্ত ছিলেন সেটা এবার চলবে কী করে! আর তাই ফন্দি আঁটেন সেই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। আমোদ প্রমোদের টাকা জোগাড় করতে অপহরণের নাটক করেন তিনি। তবে শেষরক্ষা হয়নি। পুলিসের জালে দরা পড়ে যান।
আরও পড়ুন- আদালতের নির্দেশে রায়গঞ্জে পুলিসি হেফাজতে মৃত যুবকের ফের ময়নাতদন্ত
অবসরপ্রাপ্ত বাবার প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা লোপাট করতে অপহরণকারী সেজে বাড়িতে ফোন করেছিল ছেলে। রনিত দে নিমতার ওলাইচণ্ডী তলার বাসিন্দা। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। ভালই চলছিল জীবন। আমোদ-প্রমোদে মেতে থাকতেন তিনি। কিন্তু লকডাউনের সময় তাঁর মেটা মাইনের চাকরি চলে যায়। বিলাসি জীবনে অভ্যন্ত রনিত টাকার জোগাড় করতে না পেরে অপহরণের নাটক ফাঁদেন। চলতি মাসের ২ তারিখে ব্যাঙ্কে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। তার পর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফিরছেন না দেখে চিন্তায় পড়েন তাঁর পরিবারের লোকজন। এর পরই অপহরণের কথা বলে মুক্তিপণ বাবদ বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা চান তিনি নিজেই। তদন্তে নেমে পুলিস মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে নিউটাউনের একটি হোটেল থেকে রনিতকে আটক করে। পুলিসি জেরায় রনিত জানিয়েছেন, বিলাসী জীবন বজায় রাখতেই অপহরণের নাটক করেছিলেন তিনি।