সংসারে চরম অনটন, তবু কুটীরশিল্পকে বাঁচাতে বেনজির লড়াই বাংলার এই দম্পতির
পরিবারের সদস্য বলতে স্ত্রী,বৃদ্ধ মা, দুই পুত্র মিলে মোট পাঁচ জন। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে পাটের তৈরি বাই সাইকেল ফুল বানিয়ে বাজারে বাজারে বিক্রি করে যা উপার্জন হয় তাতে কোনওরকমে সংসার চলে, পেটে ভাত পরে।
প্রদ্যুৎদাস: সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। তবুও কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে কঠিন লড়াই শুরু করেছেন অধিকারী দম্পতি। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে এভাবেই লড়াই সংগ্রাম করে রুটি রুজি রোজগার করে চলেছেন তারা। আর এভাবেই পেট চলছে অধিকারী পরিবারের। হাজার কষ্টের মাঝেও একটু আলোর উৎসের খোঁজে কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে পরিবারের সকলে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।
জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুটি বগরিবাড়ী এলাকার নীরেন অধিকারী। পরিবারের সদস্য বলতে স্ত্রী,বৃদ্ধ মা, দুই পুত্র মিলে মোট পাঁচ জন। দুই পুত্র বাবাকে দীর্ঘদিন সাহায্য করলেও বর্তমানে অর্থ উপার্জনে ভিন্ন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করছে। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে পাটের তৈরি বাই সাইকেল ফুল বানিয়ে বাজারে বাজারে বিক্রি করে যা উপার্জন হয় তাতে কোনওরকমে সংসার চলে, পেটে ভাত পরে।
স্ত্রী,দুই পুত্র সহ সকলে বাবা নীরেন অধিকারীকে বাই সাইকেল পাটের তৈরি ফুল বানাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। হাজার কষ্টের মাঝেও দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে বাঁচিয়ে রেখেছেন এই কুটির শিল্পকে। তবুও মেলেনি সরকারি সাহায্য। তা সত্ত্বেও মনে নেই কোন আক্ষেপ। একটি টিনের ঘর আর প্লাস্টিকের চাল দেওয়া একটি কুঁড়েঘর। দিনভর কাজ করার পর সেখানেই রাত্রি যাপন নীরেন বাবুর। এমনকী মেলেনি আবাস যোজনার ঘরও।
তার বক্তব্য, কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে অনেক নতুন প্রজন্ম এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা না থাকায় অনেকেই এ কাজ ছেড়েও দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে নীরেন অধিকারী ও তার পরিবার এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এই লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন তবে দেখার বিষয় আর কতদিন এভাবেই কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করতে হবে নীরেন বাবুদের।
আরও পড়ুন, Weather Today: শীতের মাঝেই বৃষ্টির চোখরাঙানি, উত্তরবঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডার পূর্বাভাস