অনেক রকম চক্রান্ত হচ্ছে! কম্বলকাণ্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারির ১৪ দিনের জেল হেফাজত
'পবিত্র রমজান মাসে, চৈতি ছট পুজোয় ও রামনবমীতে আসানসোলের সাধারণ বাসিন্দাদের সঙ্গে থাকতে পারলাম না। সামনে পয়লা বৈশাখে থাকতে পারব কি না জানি না। অনেক রকম চক্রান্ত হচ্ছে।'
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: মিলল না জামিন। নাকচ হয়ে গেল জামিনের আবেদন। কম্বলকাণ্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারির ১৪ দিনের জেল হেফাজত। আসনসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ১৪ দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দিলেন আসানসোল সি জে এম আদালতের বিচারক তরুণ কুমার মণ্ডল। ১১ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি।
কম্বল বিতরণকাণ্ডে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে জেল হেফাজতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে তাঁর আইনজীবীরা জানালেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন জামিনের জন্য। ওদিকে আসানসোল আদালত থেকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে যাওয়ার পথে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, 'পবিত্র রমজান মাসে, চৈতি ছট পুজোয় ও রামনবমীতে আসানসোলের সাধারণ বাসিন্দাদের সঙ্গে থাকতে পারলাম না। সামনে পয়লা বৈশাখে থাকতে পারব কি না জানি না। অনেক রকম চক্রান্ত হচ্ছে।'
প্রসঙ্গত, গতবছর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের একটি সভায় কম্বল বিতরণের সময়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। সেই মামলায় নাম রয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ছাড়াও তাঁর স্ত্রী চৈতালি-সহ মোট ৩ কাউন্সিলরের। ওই মামলায় আসানসোল আদালত, পশ্চিম বর্ধমান জেলা আদালতের পর কলকাতা হাইকোর্টে যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু হাইকোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে য়ায়। তারপরই জিতেন্দ্র তিওয়ারি দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। তারমধ্যেই নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর একটি জায়গা থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিস ও গোয়েন্দা দফতর। তবে জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
নয়ডা থেকে গ্রেফতারের পর রাতের বিমানেই জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে রাজ্যে নিয়ে আসে পুলিস। নিজে একজন আইনজীবী হওয়ার সুবাদে গ্রেফতারির পর আদালতে পেশের সময় জিতেন্দ্র তিওয়ারি নিজেই নিজের পক্ষে সওয়াল করেন। তারপর ৮ দিনের পুলিস হেফাজতও হয় তাঁর।
আরও পড়ুন, বিষ রাখব না, সরিয়ে দেওয়ার খেলা আমি জানি! বিস্ফোরক মদন মিত্র