Kamduni: রুমালে মুখ ঢেকে অনুসরণ করছে কামদুনিকাণ্ডে খালাসপ্রাপ্তের দাদা! আতঙ্কিত নির্যাতিতার ভাই
হাইকোর্টের ডিভিশনের বেঞ্চ রায়ে ২ আসামী যাদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত, হাইকোর্ট সেই মৃত্যুদণ্ড রদ করে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শোনায়। অন্যদিকে আমিন আলিকেও নিম্ন আদালতে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে খালাস করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: “অনুসরণ করছে কামদুনিকাণ্ডে খালাসপ্রাপ্তের দাদা।” বিস্ফোরক অভিযোগ আতঙ্কিত কামদুনির নির্যাতিতার ভাইয়ের। এই মর্মে হেয়ার স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার ভাই। ভাই অভিযোগ করেছেন, হাইকোর্টের রায়ে খালাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে আমিন আলিকে, সেই আমিন আলির দাদা রুমালে মুখ ঢেকে ঘুরছেন তাঁর অফিস চত্বরে। এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন কামদুনি নির্যাতিতার ভাই।
প্রসঙ্গত, কামদুনিকাণ্ডে শুক্রবার রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ডিভিশনের বেঞ্চ রায়ে ২ আসামী যাদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত, হাইকোর্ট সেই মৃত্যুদণ্ড রদ করে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শোনায়। আনসার আলি মোল্লা যাকে নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দিয়েছিল, তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সইফুল আলি মোল্লাকেও নগর দায়রা আদালত ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল। তাকেও আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। অন্যদিকে আমিন আলিকেও নিম্ন আদালতে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে খালাস করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি আরও তিনজন আসামী যারা ইতিমধ্যেই ১০ বছর কারাবাস করেছে, তাদেরকেও মুক্তির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এই রায়ের পরই সব মহলে ঝড় ওঠে। কামদুনিতে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। ফের প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটে কামদুনি। পাশাপাশি, সিআইডির তরফে জানানো হয় যে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে। ডিআইজি সিআইডি-র নেতৃত্বে গড়া হয় টিম। রায় ঘোষণার দিন রাতেই কামদুনি গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি আধিকারিকরা। নির্যাতিতার পরিজনদের সায় মিলতেই শীর্ষ কোর্টে এসএলপি দায়ের করেছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সোমবার-ই সিআইডি তথা রাজ্য সরকারের তরফে এই স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করা হয়।
এদিন ভোর ৪টেয় সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি ফাইল করে রাজ্য। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতির কাছে মামলার উল্লেখ করা হয়। বিষয়টির স্পর্শকাতরতা ও গুরুত্ব উল্লেখ করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়। রাজ্যের তরফে উল্লেখ করা হয় যে, এর সঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত কেউ শাস্তি মকুব হয়ে খালাস পেলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন জানায় রাজ্য।
বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন বিচারপতি গাওয়াইয়ের এজলাসে মামলাটির শুনানির জন্য। এরপর সকাল ১১টা ৪৫-এ বিচারপতি গাওয়াইয়ের এজলাসে শুনানি হয়। তারপরই খালাসপ্রাপ্তদের শো-কজ নোটিস দেয় বেঞ্চ। এক সপ্তাহের মধ্যে এই নোটিস সার্ভ করতে হবে। নোটিস সার্ভ করতে হবে জেল সুপারের মাধ্যমে যেহেতু তারা এখন জেলে আছে। ৭ দিন পর যখন তারা এই মামলার সঙ্গে যুক্ত হবে, তখন তাদের উত্তর দিতে হবে কেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য তৎপর হয়ে ওঠে বলে খবর সূত্রের। এখন এই পরিস্থিতি নির্যাতিতার ভাইয়ের অভিযোগ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহল মহলের।
আরও পড়ুন, Firhad Hakim: 'আমার দুর্নীতি প্রমাণ হলে আমাকেও অভিষেক তাড়িয়ে দেবে!'
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)