Howrah Murder: বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে মৌসুমীকে বিয়ে গৌতমের, স্বাধীনচেতা স্ত্রীকে আটকাতেই কি চরম সিদ্ধান্ত!
ওই ঘটনার তদন্ত নেমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে গৌতম ও মৌসুমীর বড় মেয়েকে। তার বয়ানেই উঠে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার হাওড়ার চ্য়াটার্জি হাটের একটি ফ্ল্য়াট থেকে উদ্ধার হয় এক দম্পতির মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, স্ত্রী মৌসুমী মাইতিকে খুন করেই আত্মঘাতী হন স্বামী গৌতম মাইতি। এবার তদন্তে উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এদিন ওই দম্পতির ২ মেয়ে দুপুর আড়াইটে নাগাদ ড্রয়িং ক্লাস থেকে ফিরে এসে দেখে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। কলিং বেল বাজিয়েও দরজা খোলেনি কেউ। এরপর পুলিসে খবর দিলে দরজা ভেঙে দেখা যায় মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মৌসুমী মাইতি। সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় গৌতম মাইতিকে।
ওই ঘটনার তদন্ত নেমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে গৌতম ও মৌসুমীর বড় মেয়েকে। তার বয়ানেই উঠে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গৌতম মাইতির বড় মেয়ে জানিয়েছে, মা প্রায়ই ফেসবুকে মশগুল থাকতো। এনিয়ে দুজনের মধ্যে প্রবল ঝগড়াঝাঁটি হতো। মা ফেসবুক করতো বলে সন্দেহ করতো বাবা। দামী প্রসাধনেরও সখ ছিল মায়ের।
আরও পড়ুন-ফেসবুকে ব্যস্ত থাকা নিয়ে চরম অশান্তি, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী!
গত তিন বছর যাবত চ্য়াটার্জিহাটের ওই ফ্ল্য়াটে ভাড়া থাকতেন মৌসুমী ও গৌতম। একটি পানশালায় ম্যানেজারের কাজ করতেন গৌতম। কিন্তু তাঁর মেয়ের বয়ান অনুযায়ী নিজেকে বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে মৌসুমিকে বিয়ে করেন গৌতম। এনিয়েও সমস্যা ছিল দুজনের মধ্যে। রোজই বেশি রাত করে বাড়ি ফিরতো গৌতম। সংসারে সেভাবে সময় দিত না। এরকম এক পরিস্থিতির মধ্যে স্বাবলম্বী হতে চেয়েছিল মৌসুমী। কিন্তু গৌতম চাইতো মৌসুমী সবসময় ঘরেই থাকুক।
মৌসুমীর এক আত্মীয় শম্ভু মিদ্দা জানান, মৌসুমী ছিল স্বাধীনচেতা স্বভাবের। স্কুটি চালিয়ে সম্প্রতি সে গ্যাংটক যেতে চেয়েছিল। এনিয়ে দুজনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। এর পাশাপাশি গৌতমের মেয়ে আরও জানিয়েছে, দুজনের মধ্যে ঝামেলার মধ্যে মৌসুমীকে মারধরও করতো গৌতম।