Primary: ২ মাসের মধ্যেই চাকরি দিতে হবে! বাতিল বিতর্কের মধ্যেই নিয়োগের বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রাইমারি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল স্বীকার করে নেয় যে  ২০০৯-এ প্রাথমিকের নিয়োগে বেশ কিছু সমস্যা হয়েছে। এই নির্দেশের ফলে চাকরি পেতে চলেছেন বড় সংখ্যা পরীক্ষার্থী।

Updated By: Apr 25, 2024, 02:10 PM IST
Primary: ২ মাসের মধ্যেই চাকরি দিতে হবে! বাতিল বিতর্কের মধ্যেই নিয়োগের বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

অর্ণবাংশু নিয়োগী: চাকরি বাতিল বিতর্কের মধ্যেই নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের! এটা প্রাথমিকে। একদিকে যখন প্রাথমিক ২০১৭ টেটের প্রশ্নে ভুলে কড়া নির্দেশ দিচ্ছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা, ঠিক তখনই তার পাশাপাশি প্রাথমিক ২০০৯-এর নিয়োগের নির্দেশও দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। বিষয়টা কী একটু খোলসা করা যাক।

প্রাথমিক ২০০৯-এর উত্তর ২৪ পরগনার পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। ২ মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি। হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলে চাকরি পেতে চলেছেন প্রায় ৮০০ পরীক্ষার্থী। যারা গতকাল পর্যন্তও আদালতের দারস্থ হয়েছে। এদিন আদালতে উত্তর ২৪ পরগনা প্রাইমারি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল স্বীকার করে নেয় যে  ২০০৯-এ প্রাথমিকের নিয়োগে বেশ কিছু সমস্যা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটের প্রশ্নপত্রে ২১টা ভুল প্রশ্নের অভিযোগ। যে কারণে ২০১৭ প্রাথমিক টেটের প্রশ্নপত্র পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। বিশ্বভারতীর বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বিশেষ কমিটি গঠন করে প্রশ্নপত্র পরীক্ষা করার নির্দেশ বিচারপতির। 

উল্লেখ্য, এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় ঘিরে তোলপাড় সব মহল। হাইকোর্টের রায়ে চাকরিহারা ২৬ হাজার শিক্ষক। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আবেদনে মূল প্রশ্ন তোলা হয়েছে, স্বাভাবিক নিয়মে চাকরি প্রাপকদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও কেন পুরো প্যানেল বাতিল করা হল? এই প্রশ্ন তুলেই সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ কমিশনের। 

কমিশনের পাশাপাশি, এসএসসি মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছে স্কুল শিক্ষা দফতরও। যোগ্যদের কেন চাকরি গেল, সেই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন ফাইল করেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। বুধবারই ফাইল করা হয়েছে এই পিটিশন। হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে পুরো প্যানেল ‘নাল আন্ড ভয়েড’। পুরো নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। চাকরি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৪ মাসের মধ্যে সুদ সমেত বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে। 

আরও পড়ুন, SSC: রায়ে যোগ্য-অযোগ্য সমীকরণে তালগোল, অথৈ জলে আইআইটি ছুট রসায়ন শিক্ষক!

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.