Hooghly Man Arrested: কাউন্সিলরকে জব্দ করতে আদালতের রায় বিকৃতি, জেলে ঠাঁই পৌঢ়
Hooghly Man Arrested: পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতের যে রায় ছিল তাতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল। সেই রায়কে বিকৃত করেন গোবিন্দ চৌধুরী।
বিধান সরকার: কাউন্সিলরকে জব্দ করতে আদালতের রায়কে বিকৃত করে পুলিসের হাতে গ্রেফতার হলেন প্রৌঢ়। ঘটনাটি হুগলির কোন্নগরের। শনিবার সকালে উত্তরপাড়া থানার পুলিস গোবিন্দ চৌধুরীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-নয়া শিক্ষানীতিতে ক্লাস ওয়ান থেকেই বাধ্যতামূলক বাংলা? বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্যের!
ঘটনার সূত্রপাত একটি দোকান ঘরকে কেন্দ্র করে। কোন্নগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুভাশিস চৌধুরী কয়েক বছর আগে একটি দোকান ঘর ভাড়া নেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দ চোধুরীর কাছ থেকে। চুক্তি শেষ হলেও সেই দোকান ঘর অবৈধ ভাবে দখল করে রেখে ছিলেন কাউন্সিলর এমনটাই অভিযোগ ছিল দোকান মালিকের। এই নিয়ে আইনি টানাপোড়েন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এমতাবস্থায় গত ৫ সেপ্টেম্বর দোকানের বাইরে একটি ম্যাজিস্ট্রেটের নোটিশ লাগিয়ে দোকান ঘরে থাকা থাকা সমস্ত মালপত্র বাইরে বের করে দেন দোকান মালিক। সেই দিনই পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন কাউন্সিলর শুভাশিস চক্রবর্তী।
কাউন্সিলর শুভাশিসের অভিযোগ, যে ম্যাজিস্ট্রেটের অর্ডারকে হাতিয়ার করে দোকান মালিক জোর করে দোকান খালি করেছিলেন সেই অর্ডারটির অবৈধ এবং রায়ের কপিকে হেরফের করা রয়েছে। যে দোকান ঘর খালি করে দেওয়ার কথা হচ্ছিল সেই দোকানের চাবি মাস কয়েক আগেই তিনি হস্তান্তর করেছিলেন দোকান মালিককে। তার পরেও দোকান মালিক গোবিন্দ চৌধুরী জনসমক্ষে তাঁর সম্মানহানি করার জন্য এই পন্থা অবলম্বন করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতের যে রায় ছিল তাতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল। সেই রায়কে বিকৃত করেন গোবিন্দ চৌধুরী। সেই কারণে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। দোকান মালিক গোবিন্দ চৌধুরীর বাড়ির লোকদের কাছে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রৌঢ়কে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।