Father Killed Son: ছেলেকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিল বাবা, ১৫ দিন পরে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করল পুলিস
সোমবার দুপুরে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিস
ভবানন্দ সিংহ: টানা পনের দিন ধরে নিখোঁজ ছিল হরসিত বালার মেজো ছেলে। পাড়ায় এনিয়ে গুঞ্জন থাকলেও লোকজনের টনক নড়ল ওই যুবকের নিখোঁজ হওয়ার দিন দশেক পর। তারপর থানা পুলিস। শেষপর্যন্ত যা বেরিয়ে এল তাতে পুলিসের চোখও কপালে উঠে গেল। দিন পাঁচেক আগে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ভক্তডাঙি হরসিত বালার বাড়ির পাশের একটি জায়গা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে তাকে। পাড়ার লোকজন খবর দেন চোপড়া থানায়। পুলিস এসে তদন্থ শুরু করে। খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায় যে জায়গা থেকে দুর্গন্ধ আসছিল সেখানে পোঁতা হয়েছে মরা মুরগি। হরসিত বালার পরিবারের তরফে পুলিসকে জানানো হয়, তাদের পোল্ট্রি ফার্মের বেশকিছু মুরগি মারা গিয়েছে। সেইসব মুরগি ওই জায়গায় পোঁতা হয়েছে। পুলিস তা দেখেও তদন্ত থামায়নি।
আরও পড়ুন-Independence day 2022 : স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয়দের পাকশিল্পীর উপহার, রবাবে বাজল 'জনগণমন'
প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস হরসিত বালার পরিবারের বেশকিছু সমস্য়ার কথা জানতে পারে। এরপরই হরসিত বালা ও তার বড় ছেলে খোকন বালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চোপড়া থানায় নিয়ে যায় পুলিস। সেখানেই ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য় হাতে আসে পুলিসের। হরিসিত ও খোকন স্বীকার করে পরিবারের মেজো ছেলে সুমির বালা রোজ রাতে মদ খেয়ে জমিজমা নিয়ে বাবার সঙ্গে ঝগড়া করতে। তুলকালাম চলত পরিবারে। সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেই বাবা ও বড় ছেলে মিলে খুন করে সমীর বালাকে খুন করে। তারপরই দেহ বাড়ির পাশের ওই জায়গায় পুঁতে দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিস। পারিবারিক এবং প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায় ওই যুবক অববিবাহিত ছিল। সম্পত্তির দাবি নিয়ে মাঝে মধ্যেই মদ্যপান করে বাড়িতে তার সম্পত্তির হিসাব দাবি করত বলে দাবি। আর এই ঘটনার জেনেই বিরক্ত হয়ে বাবা এবং তার বড় ছেলে এই ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হয় বলে পুলিস প্রশাসনের কাছে স্বীকার করে বলে সুত্রের খবর। পুলিস মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে। এদিকে ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার কথা জানা মাত্রই ওই গ্রামের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন ভিড় জমাতে শুরু করে ঘটনাস্থলে।