ভাত দিতে দেরি, মেয়ের সামনে স্ত্রীকে মুগুর পিটিয়ে খুন করল স্বামী
বাড়ি ফিরতেই স্বামী সুজন শিকদার ভাত খেতে চায়। ভাত দিতে দেরি হওয়ায় রেগে যান স্বামী। বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকা বাঁশের মুগুর দিয়ে স্ত্রীর মাথায় ঘা বসিয়ে দেয় স্বামী সুজন। একবার নয়, পরপর তিনবার। পুরো ঘটনা বড় মেয়ের সামনে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: খেতে দিতে দেরি হয়েছিল। সন্তানের সামনেই তাঁর মাকে খুন করল বাবা। খুন করে ঠান্ডায় মাথায় বাড়ি ছেড়েও চলে যায় সে। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত মাদকাসক্ত ছিলেন। রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া শীষগ্রাম নোয়াপাড়ার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামী এবং দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে থাকতেন সুমনা শিকদার। সংসারকে স্বচ্ছলভাবে চালাতে লোকের বাড়ির কাজ করতেন ২৮ বছরের সুমনা। মঙ্গলবার সবে কাজ থেকে ফিরেছিলেন। বাড়ি ফিরতেই স্বামী সুজন শিকদার ভাত খেতে চায়। ভাত দিতে দেরি হওয়ায় রেগে যান স্বামী। বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকা বাঁশের মুগুর দিয়ে স্ত্রীর মাথায় ঘা বসিয়ে দেয় স্বামী সুজন। একবার নয়, পরপর তিনবার। পুরো ঘটনা বড় মেয়ের সামনে।
আরও পড়ুন: ৩ বছর আগে বিয়ে-ডিভোর্স অভিষেকের! 'ছেলে দোষী,' আনন্দপুরকাণ্ডে বলছেন মা
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুমনার। স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তা বুঝতে পেরে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় সুজন। রক্তাক্ত নিথর সুমনার দেহ পড়ে থাকে বাড়ির উঠোনেই। নতুন নয়, এলাকাবাসীরা বলছেন অভিযোগ মাদকাসক্ত সুজনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর প্রায়ই ঝামেলা হত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর গন্ডগোল বেশ কয়েকবার থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল।
চোখের সামনে মাকে খুন হতে দেখে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠে বড় মেয়ে। আওয়াজ শুনে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায়। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।