কেশপুর থেকে শুভেন্দু LIVE : ''বুদ্ধবাবু সত্ মানুষ, বামফ্রন্টের অনেক ভাল কাজ আছে''

Last Updated: Thursday, January 21, 2021 - 15:41
কেশপুর থেকে শুভেন্দু LIVE : ''বুদ্ধবাবু সত্ মানুষ, বামফ্রন্টের অনেক ভাল কাজ আছে''

21 January 2021, 14:45 PM

নিজস্ব প্রতিবেদন- ১৩ সালের পঞ্চায়েতে পরিবর্তন এনেছিলেন। ১১ সালে পরবর্তন হয়নি কেশপুরে। আমি তো নন্দীগ্রামে দাঁড়াব। ১১ সালে আমি এসেছিলাম কেশপুরে প্রচারে। পুলিশ যার সঙ্গে থাকে কেশপুর তাঁর দখলে থাকে। বিডিও অফিস ঘেরাও থাকে। পঞ্চায়েতে কেউ নমিনেশন দিতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বাড়ি দিলেন পিএমওয়াই। তৃণমূলের ২০ হাজার কে কাটমানি নিয়েছে। লোকসভা ভোটের পর তালা পড়ে গিয়েছিল এখানকার পার্টি অফিসে। আমি এসে খুলিয়েছি। আমি যখন যে পার্টি করি নিষ্ঠার সঙ্গে করি। আমাকে বলছে পঁচা মাল। তো পঁচা মাল বেরিয়ে গেলে দিদিমনির পায়ে কাঁটা ফুটছে কেন! এত লাফালাফি করছেন কেন! এই ঘাটালে ভারতীয় ঘোষ জিতত। কেশপুরে ওরা লুট না করলে। ১০০ দিনের কাজে চুরি হচ্ছে কেশপুরে। পিসির ছেলে, কাকীর ছেলেরা মেটেরিয়াল সাপ্লাই করে। ওনাদের নেত্রী কথায় কথায় কেশপুর, নন্দীগ্রাম বলে। ১১ থেকে ২০, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দেখেছেন নাকি। তোমার দেখা নাই রে তোমার দেখা নাই। 

এবারের নির্বাচনে এই পরিযায়ী পাখি, তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড, বালি চোর, ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে না পারলে উপায় নেই। আমি ২১ বছর তৃণমূল করে ছেড়েছি। মেদিনীপুরের ছেলে, বাংলার ভূমিপুত্র, কর্মী হয়ে থাকতে পারি। তবে চাকর হয়ে থাকতে পারব না। বিজেপি ব্যক্তিকেন্দ্রীক পার্টি নয়। আপনারা আসুন বিজেপি যোগ দিন। তোলাবাজ ভাইপো বলছেন, এক বাপের বেটা হলে আলাদা পার্ট করুন। আমি আলাদা পার্টি করলে আরও পাঁচ বছর চুরির লাইসেন্স পেয়ে যাবে। মোদীজি তিন মাস গ্যাস ফ্রি দিয়েছিলেন। মায়েরা ৫০০ টাকা পাননি। পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল মোদীজী দিয়েছিলেন। আর ওরা সব নিজেদের নামে চালিয়ে দিল। এখানে চাল চোর। টিকা চোর। জয় শ্রীরাম বলায় দিদি রেগেছিল এই গড়বেতা যাওয়ার সময়। শ্রীরামের নাম করলে খারাপ নাকি! সে আবার কী কথা! শুনুন, এখানে সরকার হলে প্রচুর বামপন্থী আসবেন। বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছে। পরে ভাববেন। ভোটটা আগে বিজেপিকে দিন। বিজেপি এলে পঞ্চায়েতে ভোট হবে। মানুষ যেখানে ইচ্ছা ভোট দিতে পারবে। বামপন্থীদের বলব, বিজেপিই পারবে এই চোর তৃণমূল দলটাকে এখান থেকে তাড়াতে। 

এরা বাচ্চাদের সঙ্গেও রাজনীতি করে। কলকাতা থেকে বাচ্চাদের জন্য জুতো পাঠায়। সেই জুতো কোনও বাচ্চার পায়ে হয় না।  হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। কলকাতার এই দুটো রাস্তার নেতা-নেত্রীরা গোটা বাংলা চালাবে। লকডাউনের পর পরিযায়ী শ্রমিকরা চোখ খুলে দিয়েছেন। করোনা এক্সপ্রেস বলেছিল মাননীয়া। শ্রমিকদের বলছি, আপনারা একটা ভোটও ওদের দেবেন না। আপনারা পেটের দায়ে বাড়ি ছেড়ে দূর রাজ্যে পড়ে থাকেন। এসসসি কবে হয়েছিল বলুন তো। আমি বাপন্থীদের অনেক নিন্দা করি। নেতাই বলি, নন্দীগ্রামের কথা বলি। কিন্তু বামপন্থীদের ভাল কাজ আছে অনেক। ৭৮-এর পঞ্চায়েত তো বামপন্থীরা করেছে। বুদ্ধবাবু সত্ মানুষ, লক্ষ্মণ সেনরা হার্মাদ। ভূমিসংস্কার করেছে বামফ্রন্ট। বামফ্রন্টের আমলে রাজারহাট, নিউটাউন হয়েছে। সেইসব জমি বেঁচে খেয়েছে তৃণমূল। ওগুলো সব বামফ্রন্টের জায়গা। খালি খেয়েছে তৃণমূল। আর বিদেশে টাকা পাচার করেছে। 

এখানে আসতে কারও সমস্যা হয়নি তো! আমি দেখলাম ছেলেদের ঝান্ডার নিচের ডান্ডাটা মোটা ছিল। এরা ভীতু পার্টি। চোরের পার্টি। একদম ভয় পাবেন না। এদের ভয় পাবেন না। এদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এরা তো চোর। এদের পাল্টা দেবেন। আপনারা বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত আমি এই জেলা ছাড়ব না। আপনারা বাড়ি গেলে তবেই আমি এখান থেকে বাড়ি যাব।