ভোটের মধ্যে জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত হিংসা, ভোজালির কোপ, বোমা বিস্ফোরণ

বেহালার ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নারকেলবাগানে উত্তেজনা।

Updated By: May 1, 2019, 08:16 PM IST
ভোটের মধ্যে জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত হিংসা, ভোজালির কোপ, বোমা বিস্ফোরণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোট চলছে। এরমধ্যেই ঘটছে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা। আজও অশান্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়, বর্ধমানের বাবুরবাগ, বেহালা।

পশ্চিম মেদিনীপুর
গোয়ালতোড়ের লক্ষ্মণপুরে আক্রান্ত বিজেপি নেতা। ভোজালির কোপ দুষ্কৃতীদের। অভিযোগ, গড়বেতার মরাকাটা থেকে মিটিং সেরে ফেরার পথে বিজেপির SCST সেলের নেতার ওপর হামলা চালানো হয়। মুখে কালো কাপড়  বেঁধে, বাইকে করে আসে তিন দুষ্কৃতী। ভোজালির কোপ লাগে বিজেপি নেতা সুকুমার রুইদাসের বুকে। কেটে যায় তিনটি আঙুল। চিত্কার চেঁচামেচিতে লোক জড়ো হয়ে গেলে পালায় তিন অভিযুক্ত। আহত বিজেপি কর্মীকে চন্দ্রকোনা রোড গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । গোয়ালতোড় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

কলকাতা
বেহালার ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নারকেলবাগানে উত্তেজনা। অভিযোগ, দলীয় পতাকা লাগানোর সময় বিজেপি কর্মীদের মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা। আহত হন একজন বিজেপি কর্মী।  আহত পরিমল বিশ্বাসকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হরিদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বীরভূম
ভোট পর্ব শেষ হতে না হতেই ফের উত্তপ্ত বীরভূমের নানুর। গোফডিহি গ্রামে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জখম বেশ কয়েকজন। সূত্রের খবর, তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত মুখার্জি অনুগামীদের সঙ্গে নানুরের কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান অনুগামীদের সংঘর্ষ হয়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। বাড়ি লুঠপাটেরও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস।

পূর্ব বর্ধমান
সিপিএমের পোলিং এজেন্টের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ। এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক আতঙ্ক।  কাটোয়ার শ্রীবাটি গ্রামের ঘটনা।ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই।  বিস্ফোরণের জেরে বাড়ির পাঁচিল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।  বিস্ফোরণের  খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ  ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমের নমুনা সংগ্রহ করে।

আরও পড়ুন, হুগলির সব বুথ স্পর্শকাতর, সব বুথেই আধাসেনা, ঘোষণা বিবেক দুবের

বিজেপিকে ভোট দেবার সন্দেহে এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ। বর্ধমানের বাবুরবাগের ঘটনা।আক্রান্ত মানস ব্যানার্জির অভিযোগ ধারের টাকা ফেরত চাওয়াকে ঘিরেই গন্ডগোলের সূত্রপাত।  পুলিসের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে শাসকদল। অভিযোগ উল্টে তৃণমূল কর্মীদেরই পুলিস মারধর করে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর বসির আহমেদ সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিস।

.