মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ, দিল্লি যাচ্ছেন না মমতা
এদিন মমতা টুইটে লিখেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণে যোগদানের 'সাংবিধানিক আমন্ত্রণ' পেয়ে আমি দিল্লিতে যাব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু গত কয়েক ঘণ্টায় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানতে পারলাম রাজনৈতি হিংসায় বাংলায় নিহত ৫৬ জনের পরিবারকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পরিকল্পনা বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এক টুইটে একথা জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার নবান্ন থেকে বেরনোর সময় দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, সাংবিধানিক সৌজন্য রক্ষাতেই মোদীর শপথে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন তিনি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা ঘুরতে না-ঘুরতেই বদলে গেল সিদ্ধান্ত। জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজনীতি ঢুকিয়ে তার গুরুত্ব কমিয়ে দিয়েছে বিজেপি।
The oath-taking ceremony is an august occasion to celebrate democracy, not one that should be devalued by any political party pic.twitter.com/Mznq0xN11Q
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 29, 2019
এদিন মমতা টুইটে লিখেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণে যোগদানের 'সাংবিধানিক আমন্ত্রণ' পেয়ে আমি দিল্লিতে যাব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু গত কয়েক ঘণ্টায় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানতে পারলাম রাজনৈতি হিংসায় বাংলায় নিহত ৫৬ জনের পরিবারকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ অসত্য তথ্য। পশ্চিমবঙ্গে কোনও রাজনৈতিক হত্যা হয়নি। সমস্ত হত্যার পিছনে কারণ হিসাবে রয়েছে ব্যক্তিগত শত্রুতা, পারিবারিক দ্বন্দ বা অন্য কোনও বিবাদ। এগুলির সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এমন কোনও তথ্য নথিভুক্ত নেই।
এজন্যই আমি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। নরেন্দ্র মোদী জি, আমি দুঃখিত।
গণতন্ত্র উজ্জাপনের সেরা স্থান হতে পারত এই মঞ্চ। এই মঞ্চকে রাজনৈতিক ফয়দা লোটার জন্য কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যবহার করা উচিত নয়। মাফ করবেন।'
মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ, দিল্লি যাচ্ছেন না মমতা
বলে রাখি, বৃহস্পতিহার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলায় তৃণমূলের হাতে খুন হওয়া ৫৬ জন বিজেপি কর্মীর পরিজনদের। দাড়িভিট থেকে পুরুলিয়া, নিহত প্রতিটি বিজেপি কর্মীর পরিবার হাজির থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে। বুধবার বিকেলে রাজধানী এক্সপ্রেসে তাঁদের দিল্লি নিয়ে যাবে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে বলে অনুমান করে অনুষ্ঠানে যোগদানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।