নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে একের পর এক রথযাত্রার সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি J P Nadda। শুক্রবার রাজ্যে এসে আজ শনিবার মালদহের ইংরেজবাজারে একটি বিশাল রোডে শো করেন বিজেপি নেতা। আর বিজেপি সভাপতির রথযাত্রার রেশ থাকতে থাকতেই আসরে নামছেন তৃণমূল নেত্রী। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি মালদহে একটি সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নাইসেডে যাওয়ার আমন্ত্রণ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে, দেখানো হবে 'কোবাস'  


উত্তরবঙ্গ সফরের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নজরে ছিল রাজ্যে তিন জেলা। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের কালনায় একটি সভা করবেন মমতা। এরপর যাবেন মুর্শিদাবাদ ও মালদহে। রাজনৈতিক মহলের খবর, যেসব জায়গাগুলিতে শুভেন্দু অধিকারী দায়িত্বে ছিলেন সেইসব জায়গাগুলবিতেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদ ও মালদহের সংখ্যালঘু ভোটারদের উপরে বিশেষ নজর দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির।


মালদহের তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিজেপি কতটা কৃষক দরদী তা সবাই ধরে ফেলেছে। তবে মানুষকে কোনওভাবেই যাতে ভুল বোঝাতে না পারে, সে জন্য ৬-৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পথে নামবে জয়হিন্দ বাহিনি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও যুব তৃণমূল। আর ১০ তারিখ দিদি তো মালদায় আসছেনই। আমরা বিজেপিকে রোখার জন্য তৈরি।’


এদিকে একুশের ভোটের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের কৃষক, প্যারাটিচার, তপসিলি জাতি-উপজাতিদের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে এবারের রাজ্য বাজেটে। শুক্রবার ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে বরাদ্দ আরও বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণার পাশাপাশি তিনি জানালেন, 'কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পাবেন ভাগচাষিরাও। অনুদানের পরিমাণ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার টাকা করা হল।'


আরও পড়ুন-ফাঁদে পা দেবেন না, কৃষকদের সঙ্গে অন্যায় করছেন Mamata, এবার ভোটে টাটা করে দিন: Nadda


গত ২০১৮-র শেষ দিনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন কৃষক বন্ধু (Krishak Bondhu) প্রকল্পের। বছরে যে কোনও একটি চাষের জন্য দু-বারে একর প্রতি জমির জন্য কৃষককে দেওয়া হয় বার্ষিক ৫,০০০ টাকা। পাশাপাশি এক নতুন প্রকল্পের আওতায় ১৮-৬০ বছর বয়সি কৃষকের মৃত্যুতে রাজ্যের তরফে মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। রাজ্যের প্রায় ৭২ লক্ষ কৃষককে এই অ্যাসিওরেন্স মডেলে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্প।