ছক্কা হাঁকিয়ে খড়গপুর জয়, ধন্যবাদ জানাতে ৯ তারিখ রেলশহর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
যে রেলশহরে এতদিন খাতা পর্যন্ত খুলতে পারেনি ঘাসফুল শিবির, উপনির্বাচনে সেখানেই এবার ২০ হাজারের বেশি ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
নিজস্ব প্রতিবেদন : উপনির্বাচনে আশাতীত সাফল্য, আর তাতেই উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষকে তাঁর পাশে চেয়েছিলেন তিনি। তাঁকে নিরাশ করেনি জনগণ। দুহাত উপুড় করে আশ্বাস দিয়েছে। যে খড়গপুরে এর আগে কখনও তৃণমূল কংগ্রেস জয় পায়নি, সেখানেই এবার উপনির্বাচনে ঘাসফুল ফুটেছে। খড়গপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে তাই রেলশহরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামি ৯ ডিসেম্বর, খড়গপুরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা উপনির্বাচনে খড়গপুরে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ সরকার। জয়ী প্রদীপ সরকার এদিন বিধানসভায় আসেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। তাঁকে দেখেই আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, "খুব ভালো হয়েছে। ভালো করে কাজ কর। মানুষের পাশে থাকো।" এরপরই তিনি জানান আগামী ৯ ডিসেম্বর খড়গপুর যাবেন তিনি। খড়গপুরের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে যাবেন তিনি। প্রসঙ্গত, যে রেলশহরে এতদিন খাতা পর্যন্ত খুলতে পারেনি ঘাসফুল শিবির, উপনির্বাচনে সেখানেই এবার ২০ হাজারের বেশি ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একদা 'চাচা' জ্ঞানসিংহ সোহান পালের গড়, বর্তমানে সাংসদ দিলীপ ঘোষের তালুক খড়গপুরে ভালো ফল হবে আশা করলেও, তৃণমূলের অন্দরের খবর, জয়ের স্বপ্নও নাকি ততটাও দেখেননি নেতৃত্ব। কিন্তু ভোটের ফল বেরতেই দেখা গেল, করিমপুর-কালিয়াগঞ্জের পাশাপাশি খড়গপুরেও ছক্কা হাঁকিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই এই জয়ের প্রধান কাণ্ডারী যাঁরা, সেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থক, সাধারণ মানুষ, সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন, 'সকালে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সামনে ২ মিনিট দাঁড়ালে অদ্ভুত শক্তি পাবেন', দাবি আবেগতাড়িত বিডিওর
১০ ও ১১ ডিসেম্বর দিঘায় রাজ্য সরকারের বাণিজ্য সম্মেলন রয়েছে। তার আগেই খড়গপুর যাবেন তিনি। রেলশহর হয়ে পা রাখবেন সৈকতশহরে। শুধু খড়গপুর নয়, ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, বাকি দুই বিধানসভা কেন্দ্র- করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জেও ধন্যবাদ জানাতে যাবেন তৃণমূল নেত্রী। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে কার্যত ভরাডুবির মুখ দেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। হারানো জমি পুনরুদ্ধারে তারপর থেকেই জোর দেওয়া হয় জনসংযোগে। তৃণমূলের তরফে শুরু হয় 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি। বিধায়ক থেকে ব্লক স্তরের নেতানেত্রীদের জন্য বেঁধে দেওয়া হয় হোমটাস্ক। মানুষের সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধির এই যে প্রয়াস, হারানো জমি ফিরে পাওয়ার এই যে চেষ্টা, উপনির্বাচনের ৩-০ ফলাফল যে তাতে অক্সিজেন যুগিয়েছে তা বলাই বাহুল্য।