দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রশাসনিক বৈঠকে মমতার কড়া ধমকের মুখে আমলা-পুলিস
দফতরের সচিব থেকে জেলাশাসক, থানার ওসি-আইসি। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমক থেকে রেহাই পেলেন না কেউই। স্পষ্ট নির্দেশ, মানুষের কাজে একচুল গাফিলতিও বরদাস্ত করবেন না তিনি।
ওয়েব ডেস্ক: দফতরের সচিব থেকে জেলাশাসক, থানার ওসি-আইসি। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমক থেকে রেহাই পেলেন না কেউই। স্পষ্ট নির্দেশ, মানুষের কাজে একচুল গাফিলতিও বরদাস্ত করবেন না তিনি।
সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। রূপায়ণের দায়িত্বে থাকেন আমলারা। আমলাদের কাজের ভুলচুকে মানুষ পরিষেবা না পেলে দায় চাপে শাসক দলের কাঁধে। বেড়ে যায় রাজনৈতিক ক্ষতির সম্ভাবনা। তা যাতে না হয়, সে জন্য কড়া মুখ্যমন্ত্রী। কাজ না হওয়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁর ধমকের মুখে পড়লেন আমলারা।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। একশো দিনের কাজের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কাজে গতি না আসায় তারকেশ্বরের পর বিষ্ণুপুরেও ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তিনি। সতর্ক করলেন জেলাশাসককে। যে সব সরকারি কর্মীদের দেখে মানুষের মনে সরকার সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়, তাঁদের মধ্যে অন্যতম পুলিস। দলীয় বিধায়ক নির্মল মণ্ডল পুলিসের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ধমক খেতে হল উর্দিধারীদেরও।
প্রশাসন থেকে নিজের দলের জনপ্রতিনিধি। মানুষের কাজে গাফিলতি হলে কাউকেই ছেড়ে কথা বলছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবাণীর পর গজদন্ত মিনারে যাঁরা বসে থাকেন সাধারণ মানুষ তাঁদের প্রশ্ন করার সাহস পাবেন। এতে আখেরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই শক্তিশালী হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। (আরও পড়ুন- প্রশাসনিক বৈঠকে প্রশংসিত ভাইপোর 'বিশুদ্ধ বাংলা')