আত্মঘাতী ভাগ্নী; সঙ্গত কারণ খুঁজে পাচ্ছি না: সৌমেন মহাপাত্র
এক বছর আগে বদলি হয়েছিলেন খড়গপুরে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে। কোয়ার্টারেও পাওয়া গেল চিকিৎসক স্বাগতা ভট্টাচার্যের ঝুলন্ত দেহ।
![আত্মঘাতী ভাগ্নী; সঙ্গত কারণ খুঁজে পাচ্ছি না: সৌমেন মহাপাত্র আত্মঘাতী ভাগ্নী; সঙ্গত কারণ খুঁজে পাচ্ছি না: সৌমেন মহাপাত্র](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/06/29/380602-soumenth.jpg)
ই গোপী: 'আমি কোনও সঙ্গত কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। কোনও কারণে হয়তো মানসিক অবসাদ হয়েছিল। আমি আইআইটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব', চিকিৎসক ভাগ্নীর মৃত্যুর পর বললেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম স্বাগতা ভট্টাচার্য। বাড়ি, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। পেশায় তিনি চিকিৎসক। SSKM-র অ্যানাটমি বিভাগের অধ্যাপিকা ছিলেন স্বাগতা। এক বছর আগে বদলি হয়েছিলেন খড়গপুরে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে। আইআইটি ক্যাম্পাসে কোয়ার্টারে মায়ের সঙ্গে থাকতেন।
আরও পড়ুন: Suicide: আত্মঘাতী মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের চিকিৎসক ভাগ্নী
কীভাবে মৃত্যু? পরিবার সূত্রে খবর, এদিন সকালে নিজেই মা-কে বাজারে পাঠিয়েছিলেন স্বাগতা। কোয়ার্টারে আর কেউ ছিল না। বাজার থেকে মেয়েকে ফোন করেছিলেন স্বাগতার মা, কিন্তু ফোনে পাননি। যখন বাড়ি ফেরেন, তখন দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকিও করে স্বাগতার কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর জানলা দিয়ে স্বাগতার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁর মা।
আরও পড়ুন: Mamata In Bardhaman: মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে নিখোঁজ! ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু তৃণমূলকর্মীর
ভাগ্নির মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, 'এই মৃত্যু আমার কাছে অত্যন্ত মর্মান্তিক। ও আমার নিজের ভাগ্নী। খুবই কৃতী ছাত্রী ছিল। অধ্যাপক হিসেবেও অনেক সুনাম। পিজিতে তিন বছর অধ্যাপিকা ছিল। তারপর খড়গপুর আইআইটির মতো জায়গায় সুযোগ পেয়ে, এখানেও অধ্য়াপনা করছিল'। কেন এমন ঘটনা? প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন স্বাগতা। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।