Birbhum Child Found: অবশেষে মায়ের কোলে ফিরল সিউড়িতে নিখোঁজ শিশু
বৃহস্পতিবার ভোরে বন্ধুদের সঙ্গে খেলার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বছর আটেকের নাজিম উদ্দিন মণ্ডল। এরপর পাশেই একটি মাঠে শৌচকর্ম করতে যায় সে। তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছিল না তাঁর।
প্রসেনজিৎ মালাকার: একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছিল রাস্তায়! অবশেষে খোঁজ মিলল সিউড়িতে নিখোঁজ শিশুর। তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন এক মহিলা। ছেলেকে ফিরে পেয়ে কেঁদে ফেললেন জুলেখা বিবি। স্বস্তিতে প্রশাসনও।
জানা গিয়েছে, বয়স মাত্র আট বছর। সিউড়ির হাটজনবাজার রেলগেট সংলগ্ন বস্তি থাকে নাজিম উদ্দিন মণ্ডল। পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোরে বন্ধুদের সঙ্গে খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় সে। কিছুক্ষণ খেলার পর চলে যায় পাশের একটি মাঠে। কেন? শৌচকর্ম করতে। এরপর থেকেই আর খোঁজ মিলছিল না শিশুটির। কোথায় গেল? বেলা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করার পর, সিউড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিবারের লোকেরা। বাড়ির আশেপাশের এলাকায় তন্নতন্ন করে খোঁজ চালায় পুলিস। এমনকী, রাতে এলাকার পুকুর ও ডোবাতেও তল্লাশি চালান বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার সকালে ফের বাড়ির আশপাশের এলাকায় ফের খোঁজাখুঁজি শুরু করে পুলিস। সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিস কুকুরও। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: Dankuni: ভালো থাকতে ছেড়েছিলেন স্বামীর ঘর, যড়যন্ত্র করে তরুণীর সন্তানকেই বেচে দিল প্রেমিক
কীভাবে খোঁজ মিলল শিশুটির? পুলিস সূত্রে খবর, এদিন সকালে সিউড়ির পাথরচাপুরী এলাকায় রাস্তায় একা একাই ঘোরাঘুরি করছিল নাজিম উদ্দিন। বিষয়টি নজরে পড়ে স্থানীয় এক মহিলার। নাম-ঠিকানা জানার পর, ওই শিশুটি বাড়িতে পৌঁছে দেন তিনি।
এর আগে, বিস্কুট কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল চারেকের শিবম ঠাকুর। শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রামের বাসিন্দা ছিল সে। ১ দিন পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায় প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদে! কীভাবে মৃত্যু? গ্রেফতার করা হয় প্রতিবেশী রুবি খাতুনকে। পুলিস সূত্রে খবর, মোলডাঙা গ্রামেই একটি সেলুন চালান নিহত শিশুর বাবা শম্ভু ঠাকুর। তাঁর সেলুন কাজ করেন হাবল বাউড়ি। তাঁর সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রুবি। এমনকী, দু'জনে নাকি গ্রামে ধরাও পড়ছিলেন! এরপর রুবি চাইলেও, শম্ভুর পরামর্শেই বিয়েতে রাজি হননি হাবুল। সেকারণেই শম্ভুর ছেলে শিবমকে অপহরণ করে খুন।
তখন অধিবেশন চলছে। বোলপুর শিশু খুনের আঁচ পৌঁছে গিয়েছিল বিধানসভায়ও। সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, পুলিসমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক। বোলপুরে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। উঠেছিল 'গো-ব্যাক' স্লোগান। পাল্টা থাানার সামনে ধরনায় বসেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।