নৈহাটির পুরপ্রধানকে পিটিয়ে এলাকাছাড়া করল পাবলিক, তালা দিল চেয়ারম্যানের ঘরে
বিজেপি কাউন্সিলর গণেশ দাস জানান, যারাই এই কাজ করে থাকুক পার পাবে না। তাদের অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। পুলিসকে কোনও রাজনৈতিক রং না দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নৈহাটী পৌরসভায় চেয়ারম্যানের ঘরে তালা লাগালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তেজিত বাসিন্দারা খুলে নিয়ে গেলেন পৌরসভার সিসি ক্যামেরা ও হার্ড ডিস্ক। খবর পেয়ে পৌঁছল পুলিস। বসল পুলিস পিকেট।
নৈহাটি পৌরসভা সিইও রামদেও বর্মাল জানান, ৩০-৩৫ জন হুড়মুড়িয়ে 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি দিতে দিতে পৌরসভার ভিতর ঢুকে পড়ে। মার ধর করে পুরসভা থেকে বার করে দেয় চেয়ারম্যান আশিস চট্টোপাধ্যায়কে। তারাই চেয়ারম্যানের ঘরে তালা দিয়ে দেয়। এরপরে সিসি ক্যামেরা ও তার হার্ড ডিস্ক খুলে নিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা।
বিজেপি কাউন্সিলর গণেশ দাস জানান, যারাই এই কাজ করে থাকুক পার পাবে না। তাদের অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। পুলিসকে কোনও রাজনৈতিক রং না দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি।
বলে রাখি, ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই এলাকাছাড়া নৈহাটির পুরপ্রধান। আশ্রয় চাইতে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। ওদিকে লাগাতার অশান্তি চলছে নৈহাটি জুড়ে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার নৈহাটি পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাবে তৃণমূল। সেখানে হাজির থাকবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
অনুব্রতর গড়ে তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন, বিজেপিতে বিধায়ক মনিরুল সহ ৪
৩১ আসনের নৈহাটি পৌরসভায় ২৯টি আসন তাদের দখলে বলে দাবি বিজেপির। তবে তা মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তাদের।
গত এপ্রিলে ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা অর্জুন সিং তৃণমূল ছেড়ে দলবদল করার পর থেকেই হিংসা ছড়িয়েছে গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। লোকসভা নির্বাচনের ফর প্রকাশের পর তা চরমে পৌঁছয়। সেই আগুনে জ্বলছে নৈহাটিও।
এদিন নৈহাটির পুরপ্রধান তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না।'