Rampurhat: অমানবিক! স্নান না করায় ছেলের গায়ে ফুটন্ত জল ঢেলে দিল মা
এর থেকেও ভয়ঙ্কর এক কাণ্ড করে বসেন কলকাতার আনন্দপুরের এক যুবক। ঘটনার দিন বাড়িতে বসে মদ্যপান করছিলেন বিজয় নামে এক যুবক। সেইসময় তাঁর শিশুপুত্র বাথরুম যাবে বলে বায়না ধরে। তাতেই রেগে গিয়ে ছেলেকে থাপ্পড় মারেন বিজয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুটির
প্রসেনজিত্ মালাকার: শীতে স্নান করতে না চাওয়ায় রেগে গেল মা। সেই রাগের বসে ভয়ঙ্কর কাণ্ড করে বসলেন রামপুরহাটের এক গৃহবধূ। শিশুটির চিত্কারে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় পাড়ায়। খবর গেল পুলিসে। কী হয়েছিল? রামপুরহাটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শিবতলা পাড়ার বাসিন্দা সুদেষ্ণা মণ্ডল থাকেন ছেলেকে নিয়ে। তাঁর স্বামী সোমনাথ মণ্ডল কর্মসূত্রে থাকেন গুয়াহাটিতে। শীত পড়ায় এমনিতেই ছোট বাচ্চারা স্নান করার সময়ে নানারকম বাহানা করে থাকে। আর তা করতেই ওই কাণ্ড করে বসলেন সুদেষ্ণা মণ্ডল।
আরও পড়ুন-পোস্টারে লেখা 'গেট ওয়েল সুন' , খড়গপুরে শুভেন্দুকে দেখেই 'চোর চোর' স্লোগান!
পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলেকে বেশ কয়েকবার স্নান করতে বলেন সুদেষ্ণা। কিন্তু তাঁর ১২ বছরের ছেলে সেকথা শোনেনি। এতেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন তিনি। রান্না ঘরে গিয়ে ফুটন্ত জল এনে তা ঢেলে দেন ছেলের গায়ে। সঙ্গেসঙ্গেই তার গাল থেকে শরীরের ডান দিকের অংশ অনেকটাই পুড়ে চামড়া উঠে যায়। ছেলেটির চিত্কারে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। তারাই খবর দেন রামপুরহাট থানায়। কোনও অভিযোগ না হওয়ায় থানা এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যদিকে, বাচ্চাটিকে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
অভিভাবকের এমন অমানবিকতার ঘটনা ঘটেছিল গত সপ্তাহেই। গত ৬ নভেম্বর এর থেকেও ভয়ঙ্কর এক কাণ্ড করে বসেন কলকাতার আনন্দপুরের এক যুবক। ঘটনার দিন বাড়িতে বসে মদ্যপান করছিলেন বিজয় নামে এক যুবক। সেইসময় তাঁর শিশুপুত্র বাথরুম যাবে বলে বায়না ধরে। তাতেই রেগে গিয়ে ছেলেকে থাপ্পড় মারেন বিজয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুটির। এরপরেও ঘটনা আরও চাঞ্চল্যকর। ছেলের মৃত্যুকে স্বাভাবিক দেখাতে তিনি স্থানীয় এক চিকিত্সকের কাছ থেকে ৫০০ টাকায় একটি ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড় করেন। সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয়ে তোপসিয়ার হিন্দু গোরস্থানে।
এদিকে, বিজয় ও তার স্ত্রী তাদের মাকে বলেন নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। কিন্তু সেই কথা বিশ্বাস করেননি বিজয়ের শাশুড়ি। তিনিই ফোন করে খবর দেন থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় বিজয়কে। জেরায় সন্তানকে খুন করার কথা স্বীকার করে নেয় সে।