Maheshtala: মুখ থেকে গড়িয়ে পড়ছে গ্লুকোজ জল, ২৪ ঘণ্টা মৃত ছেলের দেহ আগলে বসে মা
ত কয়েকদিন ধরে কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না কৌশিকের
নিজস্ব প্রতিবেদন: ছেলে যে মারা গিয়েছে তা বুঝতেই পারেননি মা। প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখে মৃত যুবককে গ্লুকোজ জল খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন মা। কিন্তু তা গড়িয়ে পড়ছে তার মুখ থেকে। কিন্তু বৃদ্ধা মানতেই চাইছেন না যে তার ছেলে মারা গিয়েছে বহু আগে। এমন এক মর্মান্তিক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মহেশতলা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের চককেন্দুয়ায়।
পুলিস সূত্রে খবর, চককেন্দুয়ায় একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন বকুল সেনগুপ্ত। স্বামীর মৃত্যুর পর আয়কর বিভাগে চাকরি করতেন। কিন্তু ছোট ছেলের মৃত্যুর পর কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বড় ছেলে কৌশিককে(৩৯) সঙ্গে নিয়েই থাকতেন বকুল সেনগুপ্ত। প্রতিবেশীদের বক্তব্য কৌশিক প্রচুর নেশা করত। স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে তাকে দেখা যায়নি। কোনও ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড তার ছিল না। সেইজন্য অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সরকারি নথি না থাকার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা যায়নি। এভাবেই চলছিল।
গত কয়েকদিন ধরে কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না কৌশিকের। রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পাড়ার কয়েকজন যুবক বকুল দেবীর ঘরে ঢুকে দেখতে পান মেঝেতে শুয়ে রয়েছে কৌশিক। তাকে জল, গ্লুকোজ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে বকুল। জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আমার ছেলে গ্লুকোজ খেয়ে ঘুমচ্ছে।
পাড়ার লোকেরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুকুল মন্ডলকে জানালে তিনি উদ্যোগ নিয়ে একজন ডাক্তারকে নিয়ে এসে নিশ্চিত করেন যে মারা গিয়েছে কৌশিক। ডাক্তারের প্রাথমিক অনুমান অন্ততপক্ষে ২৪ ঘন্টা আগে মারা গিয়েছে ছেলেটি। সেই মত আজ সকাল ১১টা নাগাদ মাকে জানানো হয় তার ছেলেকে মহেশতলা থানা এবং পুরো কাউন্সিলরের উদ্যোগে পাড়া-প্রতিবেশীরা চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঘরের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। এরকম কথা বলে আকড়া শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় কৌশিকের।
আরও পড়ুন-উত্তর বলে না দেওয়ার জের, হল থেকে বের হতেই বেধড়ক মারধর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে