Kalna Domestic Violence Case: সংসার করতে হলে সন্তান নেওয়া যাবে না! 'ফতোয়া' স্বামীর; লাথি মেরে চার মাসেই 'গর্ভপাত'
বিয়ের ছ'মাসের মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। অভিযোগ, ক্রমাগত সেই সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এক বছর হল বিয়ে হয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার শুরু করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সন্তান না নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, "সংসার করতে হলে সন্তান নেওয়া যাবে না"। এরপরেও মহিলা গর্ভবতী হওয়ায় দিতে হল চরম মূল্য। অভিযোগ, লাথি মেরে সন্তান নষ্ট করেছে স্বামী। এরপরই স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা।
হুগলির বলাগর থানা এলাকার আইদা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন নির্যাতিতা মহিলা। এক বছর আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় পূর্ব বর্ধমানের কালনার ধর্মডাঙা এলাকার এক ব্যক্তির। অভিযোগ, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে শ্বশুর বাড়িতে অত্যাচার বাড়তে থাকে। বলা হতে থাকে স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে হলে সন্তান নেওয়া যাবে না। মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার বাড়তে থাকে। এরপর বিয়ের ছ'মাসের মধ্যেই মহিলার গর্ভে সন্তান আসে। অভিযোগ, ক্রমাগত সেই সন্তান নষ্ট করার জন্য তাঁর উপর চাপ দিতে থাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। বেঁকে বসলে অত্যাচার শুরু হয়। ধীরে ধীরে অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে গর্ভে থাকা সন্তানকে নষ্ট করার জন্য তাঁর পেটে লাথি মারা হয়।
মহিলার পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কালনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে অভিযুক্ত স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অভিযোগ, এরপর সেখান থেকে তাঁরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে, দ্রুত সেখানে ছুটে আসে মহিলার বাপের বাড়ির লোকজন। কালনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই কালনা থানায় স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিস। গোটা ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানের কালনার ধর্মডাঙা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।
আরও পড়ুন: Madhyamik Exam 2022: উত্তর বলে না দেওয়ার জের, হল থেকে বের হতেই বেধড়ক মারধর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: চা-বাগানে বসন্ত এসে গেছে! সবুজ গালিচার মাঝে উজ্জ্বল ময়ূর-ময়ূরী