নাগেরবাজার বিস্ফোরণে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়ে পুলিসকে সতর্ক থাকার বার্তা মমতার
পুলিসকে এসি ঘর ছেড়ে এলাকার খবর রাখার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগেরবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডের প্রসঙ্গ মুখেই আনলেন না, অথচ বুঝিয়ে দিলেন, রাজ্যে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চলছে। বুধবার জলপাইগুড়িতে পর্যটনহাবের উদ্বোধনে গিয়ে পুলিসকে সজাগ থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনই সকালে নাগেরবাজার বিস্ফোরণের তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জলপাইগুড়িতে পর্যটনকেন্দ্রের উদ্বোধনে গিয়ে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিলেন মমতা। পুলিসকে মমতার বার্তা, অনেক হিংসুটে লোক আছে। নজর রাখবেন। পরিকল্পিতভাবে অনেক কিছু করার চেষ্টা করবে। কে কোথায় কী করছে, ব্যাগ রাখছে, সব নজর রাখবেন।
এর পাশাপাশি পুলিসকে আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ঘরে বসে থাকলে হবে না। ওসিকে নিজের এলাকার খবরাখবর জানতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই এদিন বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছন সিআইডি ডিআইজি প্রণব কুমার।
বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সকেট বোমার ক্যাপ ও পাইপ। পুলিস সূত্রে খবর, পাইপটির ব্যাস সাধারণ সকেট বোমার চেয়ে বেশি। স্প্লিন্টার হিসাবে ছাঁট লোহা, জালকাঠি, পেরেক ও ছোট ছোট বল ব্যবহার করা হয়। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে বারুদের উপস্থিতি মেলেনি। ঘটনাস্থলে কোনও তার পাওয়া যায়নি। মেলেনি সুইচ জাতীয় কোনও কিছু। এদিকে, বিস্ফোরণের ফলে পাইপ ফেটে গিয়েছে। সেই ফাটা অংশ দিয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে জল পড়ে ভরে গিয়েছে সকেট বোমার বিস্ফোরণে তৈরি হওয়া গর্ত।
আজ বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ ঘটনাস্থল ঘিরে দেয় পুলিস। যদিও গতকালই পুরসভার সাফাইকর্মীরা বিস্ফোরণস্থল সাফ করে দেন। তারপর রাতভর জায়গাটি অরক্ষিতই ছিল। ফলে, এত দেরিতে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে লাভ কী, উঠছে সে প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর আজ বেলায় ঘটনাস্থলে যান সিআইডি অফিসাররা। নমুনা সংগ্রহ করেন। কিন্তু, বিস্ফোরণস্থল প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা অরক্ষিত থাকার পর এখন আর কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলা আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম ফোটাতে মুকুলেই ভরসা অমিতের