Darjeeling: বিপর্যয় থামছেই না! ফেটে গিয়েছে রাস্তা, বইছে কাদার স্রোত, বন্ধ টয় ট্রেন, স্তব্ধ জনজীবন...

NH-10 Closure: ধসকবলিত এলাকার পাশ দিয়ে পাহাড় কেটে নতুন রাস্তা বানানোর চেষ্টা চলছে। তবে সবেতেই বাধ সাধছে পাহাড়ের অতি বৃষ্টি। দিনসাতেক হতে চলল বন্ধ শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী লাইফ লাইন জাতীয় সড়ক ১০।

Updated By: Jul 6, 2024, 02:39 PM IST
Darjeeling: বিপর্যয় থামছেই না! ফেটে গিয়েছে রাস্তা, বইছে কাদার স্রোত, বন্ধ টয় ট্রেন, স্তব্ধ জনজীবন...

কায়েস আনসারি: ভারী বৃষ্টির জন্য এখনও অচল ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এনএইচ ১১০-এর পাগলা ঝোরা অঞ্চলে গাড়ির যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক তিনধরিয়া গয়াবাড়িকে যুক্ত করে। এখন কার্শিয়ং রক গার্ডেন রোড দিয়ে সাময়িক যাতায়াত হচ্ছে। দার্জিলিং থেকে এনজেপি এবং এনজেপি থেকে দার্জিলিং-- আগামী দুই দিন টয় ট্রেনের যাত্রা বন্ধ। আজ, ৬ জুলাই এবং ৭ জুলাই এই সার্ভিস বন্ধ। ৮ জুলাই থেকে এই সার্ভিস ফের চালু হবে। আপাতত রোহিণী রোড দিয়ে ভারী গাড়িগুলি, যেমন ট্রাক ও বাস চলছে।

আরও পড়ুন: Jagannath Rath Yatra 2024 | Mahishadal Ratha Yatra: ঐতিহ্যের ২৫০ বছর! ৩৪ চাকার ৫০ ফুটের গ্র্যান্ড রথ আজও গর্ব মহিষাদলের...

গত কয়েকদিন ধরে লাইফ লাইন বন্ধ উত্তরে! থেমে গিয়েছে জনজীবন। উত্তরবঙ্গ জুড়ে পরিবহণ-পরিস্থিতি খুবই সংকটাপন্ন। দিনসাতেক হতে চলল সেখানে বন্ধ শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী জাতীয় সড়ক ১০। এবার বন্ধ ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সঙ্গিন।   

মূলত সেবকের করোনেশন ব্রিজ কাছে থেকে কালিম্পং জেলার লিকুভির পর্যন্ত জাতীয় সড়কে বহু জায়গায় ধস ছিল। ফলে তিস্তার কবলে জাতীয় সড়ক ১০-এর বহু অংশ। একদিকে যেমন প্রশাসনের তরফ থেকে ধসকবলিত এলাকার পাশ দিয়ে পাহাড় কেটে নতুন রাস্তা বানানোর চেষ্টা চলছিল, অন্য দিকে তেমনই তিস্তার কবলে ধসে যাওয়া বেহাল রাস্তাকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্যতার স্তরে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও চালাচ্ছিল জেলা প্রশাসন। তবে সবেতেই বাধ সেধেছে পাহাড়ের অতি বৃষ্টি। কয়েকদিন ধরেই পাহাড়ি তিস্তার অবস্থাও একই রকম উত্তাল হয়ে রয়েছে। 

নীচের দিকে, মালবাজার অঞ্চলে লিস নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল মাল ব্লকের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের চান্দা কম্পানি এলাকা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে ভাঙা বাঁধ মেরামত করে প্রশাসন। সারারাত ধরে চলে বাঁধ মেরামতির কাজ। এরপর এখন আর লিস নদীর জল ঢুকতে পারছে না চান্দা কম্পানি এলাকায়। বালি-পাথর দিয়ে প্রায় ৩০ মিটার বাঁধ মেরামত করা হয়। জল নেমে গিয়েছে জলমগ্ন বাড়িগুলি থেকে। স্থানীয়দের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তবে গতকাল সকাল থেকেই দেখা গিয়েছিল অন্য জায়গায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই জায়গাটিও ভেঙে গেলে ফের বানভাসি হবে চান্দা কম্পানি এলাকা। এলাকার মানুষের অভিযোগ, বেলা বাড়লেও প্রশাসনের কাউকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। যেখানে বাঁধ ভাঙছে অবিলম্বে সেখানে কাজ করা জরুরি।

আরও পড়ুন: Bolpur: 'ডাক্তারের সঙ্গে পরকীয়া কাকিমার, দেখে ফেলায় ঘরে আগুন দিয়ে বাবা-মা-ভাইকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিল'

উত্তর-পূর্ব ভারত জুড়ে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে গত দশ-পনেরো দিন ধরে। এ সংক্রান্ত সতর্কতা ছিলই। পাহাড় ও সমতলে অবিরাম বর্ষণে ফুঁসছে তিস্তা, জলঢাকা-সহ অন্যান্য নদী। ব্যারাজ থেকে ছাড়া হয়েছে জল। একটানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি পুরসভার মহামায়া পাড়া, পান্ডাপাড়া, নেতাজি পাড়া পরেশ মিত্র কলোনি-সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.