Furfura Clash: ফুরফুরায় পীরজাদার বাড়িতে পুলিস! মুখ খুললেন তৃণমূল বিধায়ক
Furfura Clash: পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ফুরফুর দরবার শরিফ পবিত্র জায়গা। ফুরফুরা মৌলানা পীর কেবলা আবু বকর সিদ্দিকির স্মৃতি বিজড়িত। ওখানকার বিধায়ক হিসেবে আমার গর্বের জায়গা। রাজনৈতিক কারণ সেই দরবার শরিফে রাজনৈতিক কারণে কোনও অশান্তি তা কাম্য হতে পারে না
বিধান সরকার: ফুরফুরায় বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে হওয়া সংঘর্ষে এক অভিযুক্তকে পীরজাদার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এনিয়ে নিয়ে সরব রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিষ চক্রবর্তী। এরকম এক পরিস্থিতিতে ফুরফুরার মত ধর্মীয় স্থানে রাজনীতি করবে না তৃণমূল। দলের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন-আমার বাড়িতে রোজই ওরা অত্যাচার করছে, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে নিশানা মমতার
গত দশ আগস্ট ফুরফুরা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে ব্যাপক অশান্তি হয় ফুরফুরায়। ইট পাটকেল টিয়ার গ্যাস চলে। টায়ার জ্বেলে রাস্তা অবরোধ করা হয়। পুলিস-আইএসএফ খন্ডযুদ্ধে আহত হন অতিরিক্ত পুলিস সুপার-সহ দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করে জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিস। গতকাল এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত নাজমুস সাহাদাত মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিস। সাহাদাত মোল্লা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানা এলাকার বাসিন্দা। ফুরফুরার একটি দোকানে কাজ করত সে। পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। পীরজাদাদের বাড়িতে এসে পুলিস অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ কাশেম সিদ্দিকির।
পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ফুরফুর দরবার শরিফ পবিত্র জায়গা। ধর্মীয় স্থান। মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম তীর্থক্ষেত্র। ফুরফুরা মৌলানা পীর কেবলা আবু বকর সিদ্দিকির স্মৃতি বিজড়িত। ওখানকার বিধায়ক হিসেবে আমার গর্বের জায়গা। রাজনৈতিক কারণ সেই দরবার শরিফে রাজনৈতিক কারণে কোনও অশান্তি তা কাম্য হতে পারে না। সেই অশান্তি থেকে কোনও পীর সাহেবের গায়ে আঘাত লেগে গেল তা আমরা একেবারেই চাই না। সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমার আবেদন দরবার শরিফের কাছে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করা উচিত নয়। আমরা কি তারকেশ্বরের মন্দিরের ভেতরে এমন কিছু করছি? তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বরে করছি? তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ফুরফুরায় যেখানে পীর সহেবদের দরবার আছে, বাড়ি রয়েছে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ঝান্ডা নিয়ে কোনও মিটিং মিছিল করবে না। সরকার যে উন্নয়নের কাজ করছেন সেখানে তা হবে। অন্যদলকেও বলব ফুরফুরার পবিত্রতা বজায় রাখুন। বোর্ড গঠনের দিন পুলিসের সঙ্গে ইট ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস একেবারেই ছিল না। ওই ঘটনায় এফআইআর হয়েছে। ধরপাকড় হয়েছে। শুনেছি ধৃতদের মধ্যে দু'একজন দাগী আসামী হিসেবে পরিচিত। পুলিসের উদ্দেশ্য কোনও পীর সহেবের মর্যাদা নষ্ট করা নয়। এটা বুঝতে হবে।