Nokdara: হাতের কাছের এই স্পটটি জানেন? দাবদাহে এটাই হতে পারে আপনার জন্য সেরা গন্তব্য
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৬০০ ফুট উঁচুতে কালিম্পং জেলার নকডারা নামের এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। পাহাড়ের মেঘে ঢাকা অপরূপ মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য নকডারাতে আগেই ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাহাড়ের মহান গাম্ভীর্য অপরূপ সৌন্দর্য বারবার আকর্ষণ করে মানুষকে। তাই ভ্রমণপিপাসুদের নিরিবিলি গন্তব্য হয়ে ওঠে পাহাড়ি পরিবেশ। শহরের ব্যস্ত কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে পর্যটকরা ছুটে যান পাহাড়ের কোলে। তবে বারবার একই জায়গায় গেলে অনেকের কাছেই হয়তো আকর্ষণ হারিয়ে যায় সংশ্লিষ্ট কোনও স্পট। তাই নিত্য নতুন গন্তব্যের ঠিকানা সন্ধান করাটা জারি থাকা চাই।
তেমনই এক নতুন স্পটের খোঁজ মিলল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৬০০ ফুট উঁচুতে কালিম্পং জেলার নকডারা নামের এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। পাহাড়ের মেঘে ঢাকা অপরূপ মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য নকডারাতে আগেই ছিল।
সেখানে সম্প্রতি জিটিএর উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ১০ হাজার ফুট এলাকা জুড়ে এক সুন্দর ঝিল। ঝিলের জলে বোটিংয়ের ব্যবস্থা। জলে ঘুরে বেরাচ্ছে রং বেরংয়ের মাছ। ঝিলের চারধারে রেলিঙ। চারধারে রয়েছে সুন্দর লন ও বাগান। ইচ্ছে করলেই এই ঝিলের চারপাশে ঘুরে বেড়ানো যায়। ঝিলের পাশে দাঁড়িয়ে আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখতে পাবেন। উত্তরে তাকালেই চোখে পড়বে বরফে ঢাকা সুমহান কাঞ্চনজঙ্ঘা। এখানে দিনে পাখির কলতান সন্ধ্যায় ঝিঁঝির ডাক। দিনকয়েক এ গ্রামে থেকে আশেপাশে ঘুরে বেড়ানো যায়।
কালিম্পং থেকে মাত্র ২৮ কিমি দূরে লাভা ও লোলেগাঁওয়ের মাঝে রয়েছে এই নকডারা গ্রাম। পাশেই সামবিয়ং চা-বাগান। ডুয়ার্সের মালবাজার শহর থেকে দূরত্ব মাত্র ৪০ কিমি।
ছোট পাহাড়ি গ্রাম নকডারায় প্রায় ১৫০০ মানুষের বাস। জীবিকা বলতে ছিল পাহাড়ের মাটিতে আদা, বড় এলাচ ও সবজির চাষ। এর সঙ্গে ছিল গবাদি পশুপালন। তবে সম্প্রতি পর্যটন জীবিকার নতুন দিশা এনে দিয়েছে। তৈরি হয়েছে তিনটি হোম স্টে। একসঙ্গে ৮০ জন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। খরচ নাগালের মধ্যেই। মোবাইল নেটওয়ার্কে সমস্যা নেই। স্থানীয় লোকজন যথেষ্ট অতিথিপরায়ণ। সম্প্রতি পর্যটকেরা আসতে শুরুও করেছেন।
কী ভাবে যাবেন? কাঞ্চনকন্যা ট্রেনে নিউ মাল স্টেশনে নেমে গাড়ি ভাড়া নিয়ে যাওয়া যায়। এছাড়াও বাসে মাল বাসস্ট্যান্ডে নেমে ভাড়ার গাড়িতে যাওয়া চলে। শিলিগুড়ি থেকেও ভাড়ার গাড়িতে যাওয়া যায় নকডারা।